সর্বশেষ :
ফলোআপ: পাইকগাছায় কোটিপতির ভবন রক্ষায় সড়ক সরলীকরণ না হয়ে হচ্ছে বাঁকা: নকশা পরিবর্তন ও মাদ্রাসা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন পাইকগাছায় আমন ধানের ফলন ভাল হলেও ধানের মূল্য কম হওয়ায় কৃষক হতাশ ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ভাংচুর করে নথিতে আগুন দিলো বিক্ষুদ্ধ জনতা হাদি হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার শাহবাগ অবরোধ চট্টগ্রামে রাতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আটক ৮ ছায়ানটের ভেতরে পোড়া বই আর ভাঙা বাদ্যযন্ত্র, বাইরে কড়া পুলিশ পাহারা আজ সন্ধ্যায় দেশে আসবে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ, জানাজা শনিবার জব্দ রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা লুকানো কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছে ইউক্রেন
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ইসরাইল গাজায় সামরিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ: হামাস

প্রতিনিধি: / ২০১ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধে ইসরাইল সামরিক লক্ষ্য অর্জনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের সিনিয়র নেতা খলিল আল-হাইয়া। গত বুধবার ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পর্কে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস প্রতিনিধি দলে নেতৃত্বদানকারী খলিল। খলিল আল-হাইয়া বলেন, যুদ্ধের সময় গাজায় দুর্ভোগের জন্য হামাস ইসরাইলকে কখনো ‘ক্ষমা করবে না’। তিনি বলেন, গাজার সকল ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে প্রতিটি রক্তের ফোঁটা এবং প্রতিটি অশ্রু বেদনা ও নিপীড়নের জন্য বলছি; আমরা ভুলব না এবং ক্ষমা করব না। ইসরাইলি বাহিনী গাজা ভুখন্ডে তাদের সামরিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মনে করেন হামাসের এই সিনিয়র নেতা। যুদ্ধবিরতিতে হামাসের সব শর্ত পূরণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জত আল-রিশেক। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুদ্ধের শুরুতে হামাস যে সমস্ত শর্ত দিয়েছিল তা পূরণ করেই চুক্তি হয়েছে। শর্তগুলো ছিল ইসরাইলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুতদের বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া এবং গাজায় যুদ্ধের স্থায়ী অবসান। যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তের ব্যাপারটিকে ফিলিস্তিনি জনগণের ধৈর্য্যরে ফল হিসেবে উল্লেখ করেছে হামাস। সংগঠনটির ভাষায়, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আমাদের মহান ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচল ধৈর্য্য এবং গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে আমাদের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের ফল। এটা আমাদের জনগণের মুক্তির আকাক্সক্ষার বাস্তবায়নের পথকে প্রশস্ত করেছে। যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে মধ্যস্থতা করছে তিনটি দেশ- কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার রাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির যে চুক্তি হয়েছে তা আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস, যাদের মধ্যে সব নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষরা রয়েছেন। গাজার জনবহুল এলাকা থেকে ইসরাইলের সাথে গাজার সীমান্তের ৭০০ মিটারের বেশি দূরে অবস্থিত এলাকায় ইসরাইল তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে। ইসরাইল বেসামরিক নাগরিকদের গাজার উত্তরে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেবে এবং প্রতিদিন ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে। শর্ত পূরণ হলে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে অবশিষ্ট সব জীবিত জিম্মিদের মুক্তি ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয় রয়েছে। তৃতীয় ধাপে অবশিষ্ট মৃতদেহগুলোর ফেরত দেওয়া এবং গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরুর কথা রয়েছে। এই কাজ মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত হবে।


এই বিভাগের আরো খবর