শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: কাঁচা মরিচের ঝাঁজে নাকাল হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। ধারেকাছেও ভিড়তে পারছে না নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
লাগামহীন দামের দাপটে কিনতে সাহস পাচ্ছে না উচ্চবিত্তরাও। একপ্রকার দুস্পাপ্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে
এই কঁচা মরিচ।
উপকূলীয় উপজেলা বাগেরহাটের শরণখোলায় বর্তমানে এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬০০ টাকা
থেকে ৭০০ টাকা দরে। সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে খুচরা বাজারে এমন আকাশ ছোঁয়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে
রন্ধনশালার অপরিহার্য এই উপকরণটি।
আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যায় মরিচসহ শাক-
সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবং ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির সংকট
দেখা দিয়েছে। সেকারণেই দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা কাঁচা বাজার, পাঁচরাস্তা মোড়ের প্রশাসন মার্কেট
কাঁচা বাজার এবং রাজৈর খেয়াঘাট কাঁচা বাজার ঘুরে কাঁচা মরিচের দামের এই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা ব্যবসায়ীদের কোনো দোকানে এক কেজি, আবার কোনো কোনো দোকানির চটে
ও ঝুড়িতে খুব বেশি হলে দুই থেকে তিন কেজি মরিচ সাজানো। রুক্ষ্ম-শুষ্ক মরিচগুলোতে আগেরমতো নেই
চকচকে সেই জৌলুসও।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী বাবুল হাওলাদার, শহিদুল খান, বাদল হাওলাদার ও মানিক মিয়া জানান, আড়ৎ থেকে সাড়ে
৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে তাদের মরিচ কিনতে হয়। কেনার পর সয়মতো বিক্রি না হলে পঁচে য়ায়। এতে
তাদের অনেক ঘাটতি হয়। তাই তাদেরকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন শাহজাহান
জানান, শুধু কাঁচা মরিচই না সব ধরণের তরিতরকারির দাম বেড়েছে। তিনি ৭০০টাকা কেজি দরে ১৩০ গ্রাম কাঁচা
মরিচ কিনেছেন।
রায়েন্দা বাজারের পাইকারি কাচামাল ব্যবসায়ী মো. বাচ্চু হাওলাদার ও আড়ৎদার হুমায়ুন মিয়ার কাছে জানতে
চাইলে বলেন, খুলনার পাইকারি বাজারেই কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম। সেখানেই আগের চেয়ে কেজিতে এক থেকে
দেড়শ টাকা বেশি দরে কিনতে হয়। সে অনুপাতে তাদের খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এই ব্যবসায়ীরা আরো জানানা, গত কয়েক মাস ধরে অতিবৃষ্টি – বন্যায় দেশীয় উৎপাদন কমে গেছে। তাছাড়া
ভারতের আমদানি না থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে কাঁচা মরিচের। ভারত থেকে আমদানি হলে দাম সহনীয় পর্যায়ে
চলে আসবে।