আইটি: বাংলাদেশে টিকটক বন্ধে এর আগে উদ্যোগ নেওয়া হলেও জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। অশ্লীলতার মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে এমন অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)তে। এবার টিকটকের ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে টিকটকের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে। সামনে হয়তো আরও বৈঠক হবে। টিকটককে বাংলাদেশে তাদের ডাটা সেন্টার বসানোর কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে তাদের সার্ভার রয়েছে ভারতে। বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, টিকটককে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ডাটা সেন্টারের পাশাপাশি এখানে একটি অফিস স্থাপনের কথাও বলা হয়েছে। অফিস থাকলে সেখানে টিকটকের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করবেন। তখন বাংলাদেশ নিয়ে টিকটকের আপত্তিকর ভিডিও বা নানা ধরনের কনটেন্ট বন্ধ করা সহজে সম্ভব হবে। টিকটক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের এ ধরনের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে চীনের অ্যাপ টিকটক অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মোবাইল অপারেটরদের দেয়া তথ্যমতে, ভিডিও শেয়ারিংয়ের জনপ্রিয় প্ল্যাটফরম টিকটক ব্যবহার করেন ৫ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী অ্যাপ ডাউনলোড চার্টের শীর্ষের দিকে রয়েছে টিকটক। টিকটকের তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বব্যাপী আশি কোটি মানুষ এটি ব্যবহার করছে। ২০১৯ সালে জনপ্রিয় অ্যাপ ইন্সটাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটকে পেছনে ফেলে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ ডাউনলোডকারী অ্যাপে পরিণত হয়েছিল টিকটক।