সর্বশেষ :
লক্ষ্ণীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে তালা দিয়ে আগুন: ঘুমন্ত শিশু নিহত, দগ্ধ ৩ ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় হত্যা করে লাশ পোড়ানো, গ্রেপ্তার ৭ নিথর দেহে দেশে ফিরলেন ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় মানিক মিয়ায় ওসমান হাদির শেষ বিদায়, জানাজা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ওসমান হাদির মৃত্যুতে পালিত হচ্ছে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক অস্থির পরিস্থিতিতে শিল্পকলার সব আয়োজন বন্ধ ওসমান হাদির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, দুপুরে সংসদ ভবনে জানাজা লাঠি ভর দিয়ে চলা বৃদ্ধও আসামি:  মোরেলগঞ্জে হয়রানিমূলক মামলা  প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ  ও মানববন্ধন কুতুবদিয়ায় আলফা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মৃত্যুদাবি পরিশোধ বাগেরহাটে হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে  বিক্ষোভ
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১০ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ক্যাবস-এর ১০ পরামর্শ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায়

প্রতিনিধি: / ২০৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। এসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ১০টি পরামর্শ দিয়েছে সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার পলিসি স্টাডিজ (ক্যাবস)। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বন্যাত্তোর কৃষি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ক্যাবস। সেখানে বক্তারা এসব পরামর্শ তুলে ধরেন। বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে যে বন্যা হয়েছে তা স্বাভাবিক বন্যা নয়। ওই অঞ্চলের মানুষ কখনও এরকম বন্যা দেখেনি। গোমতী নদী একটি পাহাড়ি নদী। সেখান থেকে ঢলের পানি এসে বন্যা হলেও তা মেঘনা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যায় খুব বেশি ক্ষতিসাধন করতে পারে না। সাবেক এ মহাপরিচালক বলেন, আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কৃষি খাতে রবি ফসল উৎপাদন বাড়ানোর দিকেও নজর দিতে হবে। যারা ক্ষুদ্র কৃষক তাদের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে সহায়তা ও স্বল্প সুদের ঋণ দেওয়ার আহŸান জানান তিনি। এ সময় তিনি ফিশারিজ সেক্টরেও প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে সরকারের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে কার্যক্রম আরও জোরদার করার কথা বলেন তিনি। এ ছাড়া বন্যায় মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, দূষণ ধুয়ে যাওয়ার ফলে মাটির গুনাগুণ বৃদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে রবি ফসল উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিয়ে বন্যা পরবর্তী রোগবালাই থেকে নিরাপদ থাকার আহŸান জানান তিনি। এসময় মূল প্রবন্ধে সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার পলিসি স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ১০টি পরামর্শ তুলে ধরেন। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় করণীয়-
১. বন্যাকবলিত এলাকার কৃষি ফসলের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ করে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার অব্যবহিত পরে রোপা আমনের বীজতলা, রোপিত আমন এবং দÐায়মান আউশ ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রæত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কাজ শুরু করতে হবে।
২. আগাম শীতকালীন শাক-সবজি, ডাল ফসল, তেল ফসলসহ অঞ্চল উপযোগী ফসল চাষের পরিকল্পনা ও কার্যক্রম দ্রæত শুরু করতে হবে।
৩. বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত নিজস্ব উঁচু জমিতে নাবী জাতের আমনের বীজতলা, পলি ব্যাগে অথবা বেডে বিভিন্ন সবজি, চারা উৎপাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের উপকরণ মানসম্পন্ন বীজ, সার, বালাইনাশক ইত্যাদি সরবরাহ ও ব্যবহারের দিকনির্দেশনাসহ জরুরি পুনর্বাসন কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে।
৫. মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদের ক্ষয় ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রæত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. অসুস্থ গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির জরুরি চিকিৎসা সেবা এবং খাদ্য সরবরাহ স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরগুলোর মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।
৭. বন্যাদুর্গত এলাকায় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, আবাসন তৈরি ও মেরামত সংক্রান্ত পুনর্বাসন কাজে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রæত পুনর্বাসন ও মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে।
৮. স্বাস্থ্য সেবা, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রæত পুনর্বাসন ও সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
৯. কৃষকদের শস্যঋণের/কৃষিঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে ঋণগ্রস্তদের ঋণ মওকুফ অথবা ঋণের কিস্তি মওকুফ করতে হবে।
১০. খুব দ্রæত শস্য বিমা/কৃষি বীমা চালু করতে হবে।
সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার পলিসি স্টাডিজের চেয়ারম্যান কৃষি অর্থনীতিবিদ ও কলামিস্ট ড. মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফিরোজ মাহমুদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোশাররফ হোসেন, ডিএইর সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ, পিকেএসএফ’র ডিএমডি ড. ফজলে রাব্বি সাদেক প্রমুখ।


এই বিভাগের আরো খবর