শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ইসলাম যা বলে বিড়াল পালন সম্পর্কে

প্রতিনিধি: / ২০৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪

ধর্ম: পোষা প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে শান্তশিষ্ট প্রাণী বিড়াল। তুলতুলে গা আর ন¤্র স্বভাবের কারণে অনেকে বিড়াল পালতে পছন্দ করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল পালনে কোনো অসুবিধা নেই। তবে বিড়ালকে পর্যাপ্ত খাদ্য-পানীয় সরবরাহ করতে হবে। বিড়ালের প্রতি যথাযথ দয়া-অনুগ্রহ দেখাতে হবে। বিড়ালকে কোনো ধরনের কষ্ট দেওয়া যাবে না। তবে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে, বিড়াল কোথাও নোংরা বা অপবিত্র করলে, সেটা যেন পরিচ্ছন্ন করে নেয়া হয়। বিড়ালের ওপর কোনো ধরনের অবিচার হলে গুনাহগার হতে হবে।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
একজন নারীকে একটি বিড়ালের জন্য আজাব দেওয়া হয়েছে। কারণ, বিড়ালটিকে আটকে রাখায় সেটি মারা গিয়েছিল। ফলে সে জাহান্নামে গেছে। বিড়ালটিকে সে আটকে রেখে সে খাবার-পানীয় দেয়নি। আবার ছেড়েও দেয়নি যাতে করে জমিনের পোকামাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে। (মুসলিম, হাদিস : ৫৭৪৫)
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ আল্লামা ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেছেন, এ হাদিস থেকে বিড়াল পালা ও বিড়ালকে বেধে রাখা জায়েজ বলে প্রমাণিত হয়, যদি তাকে খানাপিনা দেওয়ার ব্যাপারে ত্রæটি না করা হয়। (ফাতহুল বারি : ৬/৪১২) পশু-পাখিসহ আল্লাহর যেকোনো সৃষ্টির প্রতি দয়া করলে মহান আল্লাহও দয়া করেন। অজ¯্র সওয়াবে ঋদ্ধ করেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন- দয়াবানদের ওপর দয়াময় আল্লাহও দয়া করেন। তোমরা জমিনের অধিবাসীদের প্রতি দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৪৯৪১) আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সাহাবিরা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! পশুপাখিদের মধ্যেও কি আমাদের জন্য সওয়াব রয়েছে? তিনি বললেন, ‘প্রতিটি তাজা কলিজায় সওয়ব রয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪৬৭; মুসলিম, হাদিস: ২২৪৫) এছাড়াও রাসুল (সা.) নিজের ওজুর পাত্র থেকে বিড়ালকে পানি পান করানোর কথা হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। প্রখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-এর বিড়ালপ্রীতির কথাও প্রসিদ্ধ।


এই বিভাগের আরো খবর