শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

অন্যের হক নষ্ট করলে কী করণীয়?

প্রতিনিধি: / ৩১২ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪

ধর্ম: ইসলামে বান্দার হককে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অন্যের হক নষ্ট করলে আল্লাহতায়ালা মাফ করবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত ওই বান্দা তা মাফ না করবেন। এক হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহতায়ালা শহিদের যাবতীয় অন্যায় মাফ করে দেন। কিন্তু ঋণ মাফ করবেন না। কেননা, এটা বান্দার হক। অন্যের হকের বিষয়ে আল্লাহতায়ালা সতর্ক করে বলেছেন, ‘আর যারা অন্যায়ভাবে এতিমদের সম্পদ আত্মসাৎ করে তারা মূলত তাদের পেটে আগুন ঢোকাচ্ছে। অচিরেই তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সূরা নিসা, আয়াত, ১০) হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা সূত্রে বর্ণিত, মহাননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো এক বিঘত পরিমাণ সম্পত্তি ভোগ করবে, কিয়ামতের দিন সাত তবর (স্তর) জমিন তার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।’ (বুখারি ২৪৫৩, মুসলিম ১৬১২) এজন্য কোনোভাবে কখনো কারো হক মেরে খেলে তা থেকে তওবা করতে হবে এবং এই ধরনের পাপের ক্ষেত্রে তওবা কবুলের শর্ত হলো যার হক নষ্ট করা হয়েছে তার কাছে তার পাওনা ফিরিয়ে দেওয়া আর ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে তার কাছে মাফ চেয়ে নিতে হবে। তাকে তা ফেরত না দেওয়া বা তার কাছে মাফ না চাওয়া পর্যন্ত তওবা কবুল হবে না। এক হাদিসে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোনো বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার থেকে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোনো দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) বা দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) থাকবে না। যদি তার সৎকর্ম থাকে তাহলে তার সৎকর্ম থেকে জুলুমের সমপরিমাণ কেটে রাখা হবে। আর তার সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে জুলুমের সমপরিমাণ নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস, ২৪৪৯) ইমাম নববী (রহ.) বলেন, কেউ যদি কোনো বান্দার হক নষ্ট করে তাহলে তার তাওবা কবুল হওয়ার জন্য চারটি শর্ত রয়েছে।
১। গুনাহ ত্যাগ করা। ২। কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়া। ৩। সে গুনাহে পুনরায় লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া। ৪। হকদারের হক পৌঁছে দেওয়া। যদি এ চারটি শর্তের কোনো একটি না পাওয়া যায় তাহলে সে তাওবা শুদ্ধ হবে না। (রিয়াদুস সালেহীন, পৃ. ৩৩, ফাতাওয়া লাজনাতুদ দায়েমা ৪/১৬৫)


এই বিভাগের আরো খবর