শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫০ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

এ বছর সাপের দংশনে ৩৮ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রতিনিধি: / ২৪৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪

দেশে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৬১০টি সাপের দংশনের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন রাসেলস ভাইপার নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) আসা তথ্যানুসারে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত দেশে ৬১০টি সাপের দংশনের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া সাপের দংশনে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি সাপে কাটা রোগী পাওয়া গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে চলতি বছরের শুরু থেকে বুধবার পর্যন্ত সাপের দংশনে মোট ৪১৬ জন রোগী ভর্তি হয়, তার মধ্যে ‘বিষধর’ ৭৩টি এবং ১৮টি চন্দ্রবোড়া সাপ ছিল। সাপের দংশনে আক্রান্তদের মধ্যে মোট ১১ জন রোগী মারা যান, এর মধ্যে চন্দ্রবোড়া সাপের দংশনের কারণে মারা যায় ৫ জন। তিনি আরও বলেন, দেশে সাপের দংশনে নীতিগতভাবে একটি স্বীকৃত গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। ২০২২ সালে পরিচালিত জাতীয় জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৪ লাখের অধিক মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। যার মধ্যে দুঃখজনকভাবে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। সাপের বিষয়ে অপর্যাপ্ত তথ্য থাকা সত্তেও প্রধান বিষধর সাপের মধ্যে গোখরা, ক্রেইট, চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) ও সবুজ সাপ অন্যতম। কিছুকিছু সামুদ্রিক সাপের দংশনের তথ্য আছে। বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়ায় অস্তিত্ব এবং এর দংশনে মৃত্যুর ইতিহাস ১৯২০ সালেই স্বীকৃত আছে। ২০১৩ সালে রামেক হাসপাতালে চন্দ্রবোড়া অথবা উলুবোড়া সাপের দংশনের প্রথম রিপোর্ট হিসেবে লিপিবদ্ধ আছে, প্রাথমিকভাবে রাজশাহী ও বরেন্দ্র অঞ্চলে এর প্রভাব বেশি দেখা গেলেও পরবর্তীতে ধীরে ধীরে চন্দ্রবোড়ার বিস্তৃতি ২৭টি জেলায় ছড়িয়েছে। ‘বিষধর’ সাপের দংশনের স্বীকৃত চিকিৎসা হচ্ছে এন্টিভেনম। তাই সাপের দংশনের আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা।


এই বিভাগের আরো খবর