সর্বশেষ :
ফলোআপ: পাইকগাছায় কোটিপতির ভবন রক্ষায় সড়ক সরলীকরণ না হয়ে হচ্ছে বাঁকা: নকশা পরিবর্তন ও মাদ্রাসা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন পাইকগাছায় আমন ধানের ফলন ভাল হলেও ধানের মূল্য কম হওয়ায় কৃষক হতাশ ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ভাংচুর করে নথিতে আগুন দিলো বিক্ষুদ্ধ জনতা হাদি হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার শাহবাগ অবরোধ চট্টগ্রামে রাতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আটক ৮ ছায়ানটের ভেতরে পোড়া বই আর ভাঙা বাদ্যযন্ত্র, বাইরে কড়া পুলিশ পাহারা আজ সন্ধ্যায় দেশে আসবে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ, জানাজা শনিবার জব্দ রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা লুকানো কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছে ইউক্রেন
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় চীন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

প্রতিনিধি: / ২৪১ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। বুধবার দুপুরে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান চীনের প্রধানমন্ত্রী। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে চীন অত্যন্ত মূল্য দেয়। পৃথিবীর যে কয়েকটি দেশে চীন সবচেয়ে বেশি প্রকৌশল সহায়তা দেয়, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। হাছান মাহমুদ বলেন, বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। চীনের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে জাতির পিতার চীন সফর এবং এরপর শেখ হাসিনার ছয়বার চীন সফরের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের গভীর সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এ সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে বলে চীনের প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। হাছান মাহমুদ জানান, আগামী বছর বাংলাদেশ ও চীনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্যের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। হাছান মাহমুদ বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের যে বাণিজ্য ঘাটতি আছে, তা কমানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেক্ষেত্রে চীনের প্রধানমন্ত্রীও বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানির কথা বলেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা যে আম আমদানি করতে যাচ্ছেন সেটি বলেছেন, কাঁঠাল ও পেয়ারা এ দুটি ফলও আমদানির বিষয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন। হাছান মাহমুদ বলেন, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ওষুধ, সিরামিকসহ অন্যান্য পণ্যও যাতে আমদানি হয়, তার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বারোপ করেছেন। তারাও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে আরও অধিক পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হবে। পররাষ্ট্রমন্তী জানান, চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। হাছান মাহমুদ বলেন, বৈঠকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং মানবতার কল্যাণে দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে দুই প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করার বিষয়ে সহায়তায় আগ্রহ প্রকাশ করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্কে চীনা বিনিয়োগ আহŸান করেছেন। একইসঙ্গে চীনের জন্য আলাদা একটি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণের জায়গা বরাদ্দ রাখার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রিকসে যোগদান বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেকোনো ফরম্যাটে, অর্থাৎ ব্রিকস যেভাবেই সিদ্ধান্ত নেয়, সেভাবেই বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তির কথা বলেছেন। চীন এ ক্ষেত্রে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে। হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন যেসব সুবিধা পাচ্ছে, সেগুলো যাতে ২০৩২, অন্তত ২০২৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, সেক্ষেত্রে চীনের সহায়তা কামনা করেছেন। এ বিষয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান। দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর লি কিয়াং এবং শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২১টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি এবং সাতটি ঘোষণাপত্র সই করেছে বাংলাদেশ ও চীন। এর মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়েছে। এর আগে সকালে গ্রেট হলে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। সেখানে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অভ্যর্থনা জানিয়ে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।


এই বিভাগের আরো খবর