বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা একসঙ্গে যোগ দিচ্ছেন। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত এই জানাজায় অংশ নিতে বারিধারা কূটনৈতিক এলাকা ত্যাগ করেছেন অন্তত ৩২ দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ প্রতিনিধিরা।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই সেখানে মানুষের ঢল নেমেছে। দেশীয় শোকের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের উপস্থিতি পুরো আয়োজনকে এনে দিয়েছে বিশেষ তাৎপর্য।
জানাজায় অংশ নিতে যাওয়া কূটনীতিকদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিন, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত একাতেরিনা সেমেনোভা, জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা সিনচি, কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো সিগফ্রিড রেংলি।
এ ছাড়া নেদারল্যান্ডস, লিবিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ফিলিস্তিন, দক্ষিণ কোরিয়া, মিয়ানমার, ইতালি, সুইডেন, স্পেন, ইন্দোনেশিয়া, নরওয়ে, ব্রাজিল, মরক্কো, ইরান, আলজেরিয়া, ব্রুনাই, থাইল্যান্ড, কাতার, ডেনমার্ক ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররাও জানাজায় অংশ নিচ্ছেন।
কূটনীতিকদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও জানাজায় শরিক হচ্ছেন। বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সিমোন লসন পার্চমেন্ট মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে উপস্থিত হয়েছেন। একই সঙ্গে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রফিকুল ইসলামও জানাজায় অংশ নিচ্ছেন।
আয়োজকদের ভাষ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভূমিকা ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর দীর্ঘ পথচলার প্রতি সম্মান জানাতেই এত দেশের কূটনীতিকরা একযোগে জানাজায় অংশ নিচ্ছেন। এতে দেশের ভেতরে যেমন শোকের আবহ তৈরি হয়েছে, তেমনি বিশ্ব পরিসরেও বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।