ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে বড় সমস্যার মুখে পড়েছেন সদ্য এনসিপি থেকে পদত্যাগ করা ডা. তাসনিম জারা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের কমপক্ষে ১ শতাংশ সমর্থনের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার প্রয়োজন থাকলেও প্রয়োজনীয় ভোটার নম্বর পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন, কিন্তু কমিশনের সার্ভার জটিলতায় ভোটার নম্বর সংগ্রহ কার্যত বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা-৯ এলাকার খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা এলাকায় স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছেন তাসনিম জারা। তিনি জানান, “ভোটার নম্বর প্রয়োজন, কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো উপায় রাখেননি। ভোটার নম্বর পাওয়ার পাঁচটি পথ—এসএমএস, অনলাইন, কল সেন্টার, কিউআর কোড এবং ওয়েবসাইট—কোনোটিই কার্যকর নয়। ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন, প্রতিটি পথ বন্ধ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য এটি একদম অসম্ভব করে দেওয়া হয়েছে।”
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হলে বয়স ২৫ বছর পূর্ণ, বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে এবং আয়কর রিটার্ন, সম্পদের বিবরণী, ছবি ও হলফনামা জমা দিতে হবে। তাসনিম জারা জানিয়েছেন, স্বাক্ষর সংগ্রহের এই শর্ত পূরণ করা নিয়ে এখন বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সঠিক ভোটার নম্বর ছাড়া ১ শতাংশ সমর্থন যাচাই করা কঠিন, যা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন বাতিলের কারণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “রাজনীতিতে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকা উচিত, কিন্তু তা নেই। নতুন ধারার রাজনীতির জন্য স্বতন্ত্র হয়ে লড়াই চালিয়ে যাব। নিরাপত্তা নিয়ে কিছু উদ্বেগ আছে, তবে আশা করি সব প্রার্থী সবার জন্য নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারবে।”
ডা. তাসনিম জারার এই অবস্থার কারণে আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তাঁর প্রার্থীতা নিয়েও বিরাট সংশয় তৈরি হয়েছে।