শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

নোয়াখালীর অব্যবস্থাপনা নিয়ে যা বললেন কোচ সুজন

প্রতিনিধি: / ১ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

নোয়াখালী এঙ্প্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। সহকারী কোচের দায়িত্বে রয়েছেন তালহা জুবায়ের। টুর্নামেন্ট শুরুর এক দিন আগে গত বৃহস্পতিবার হুট করেই নোয়াখালীর অনুশীলন সেশন বয়কট করে হোটেলে ফিরে যান দুই কোচ সুজন এবং তালহা। কিন্তু কেন? জানা গেছে, অনুশীলনে ঠিকঠাক খেলার সরঞ্জাম পাননি সুজন। ক্রিকেট বল ছিল চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের অনুশীলন, ট্রেনিং করাতে গিয়ে যেকোনো কোচের মাথা গরম হওয়াই স্বাভাবিক। সুজন, তালহাদেরও তা-ই হয়েছে। পরে সেই মুহূর্তে নোয়াখালীর সাবেক অপারেশনস এবং লজিস্টিকস ম্যানেজারের ফোন পেয়ে ক্ষোভ ঝারেন সুজন। পরে ম্যানেজারের অসদাচরণে আবারও চটে যান প্রধান কোচ। বিষয়টিকে মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং বলেছেন সুজন। পরে মালিকপক্ষও সমস্যার সমাধান করেছে। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘(বিষয়টি শুধুই মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং। তবে দলের মালিকদের ধন্যবাদ। উনারা আমার সাথে কথা বলেছেন, বিসিবি থেকেও আমার সাথে কথা বলেছে। এটা আসলে মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং যে ট্রেনিংয়ে সুযোগসুবিধা ছিল না বলে, আমার মেজাজ খারাপ হয়েছে একটু। আমার সাথে একটু মিসবিহেভ করে ফেলেছে, এখনও শুরুই হয়নি টুর্নামেন্ট, খেলায় হারলে কী হবে? তবে তারা (মালিকপক্ষ) অনেক ভালো ছিল। তারা আমার সাথে কথা বলেছে। এটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং।’ বাজে আচরণ করা সেই ব্যক্তি এখনও দলের সাথে আছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন বলেছেন, ‘কেন আমাকে ফোন করেছে আমি জানি না। আমি ফোনটা ধরেই তাকে বললাম অনুশীলনের সরঞ্জাম নেই কেন? কারণ সে একসময় ছিল। লজিস্টিকসেরগুলো তার হাতেই ছিল। গ্রুপে ছিল সে এক সময়। এখন তারা দেখার পর সে এখন গ্রুপে নাই। তালহা আমাকে বলেছিল যে খেলার সরঞ্জামগুলো তো নাই এখনও মাঠে। এটা নিয়ে মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং, হিট অব দ্যা মোমেন্টে আমার হয়ত রাগ উঠে গিয়েছিল মাঠে।’ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি? সুজনের জবাব, ‘ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।’ সুজন আরও বলেন, ‘আমি ফোনটা ধরেই বলেছি এখনও কেন বল আসেনি। তখন সে কিছুটা মিসবিহেভ করেছে, রাগ উঠে গিয়েছিল।’ এছাড়া গোটা বিপিএল নিয়ে সুজন জানান, ‘আমাদেরটা একদম ইন হাউজ ঘটনা। আমার কাছে ফোন আসে, আমি জিজ্ঞেস করি যে বল নাই কেন। আমার ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে আমি দারুণ খুশি। আমাদের কাপড়চোপড় থেকে শুরু করে প্লেয়ারদের পেমেন্ট করে দেওয়া, আশা করি টুর্নামেন্টজুড়ে তারা এই কমিটমেন্ট রেখে যাবেন। ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তাদের এখানে আসা। আজকে যেটা হয়েছে, পরে হওয়ার চেয়ে আগে হওয়া ভালো। এখন আমরা আরও ভালোভাবে আগানোর চেষ্টা করব হয়ত।’ সুজন আরও বলেন, ‘আমি আসলে কাউকে দোষ দিতে চাই না, বিসিবিকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। আমার মনে হয় কিছুটা তাড়াহুড়া করে ফেলেছেন উনারা। এমন বড় একটা আসর, যেখানে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি আসে, এখানে জিনিসটা আরও বেটার হলে ভালো হত। বিপিএলটা যেন ভালো একটা বিপিএল হয়। সবাই যেন মজা পায়। মাঠের খেলা যেন ভালো হয় এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’ নোয়াখালী এঙ্প্রেসের মালিকপক্ষের একজন প্রতিনিধি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘বিসিবি ১৭ ডিসেম্বর আমাকে জানায়, তাকে (অভিযুক্ত) রাখা যাবে না দলের সাথে। আমি তাকে গ্রুপ থেকেও রিমুভ করেছি।’


এই বিভাগের আরো খবর