মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০২ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছি, এই অপবাদ থেকে মুক্তি চাই: সিইসি

প্রতিনিধি: / ০ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

আমরা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছি বা ম্যানেজড ইলেকশন করছি। এই অপবাদ থেকে আমরা মুক্তি চাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের বক্তব্যে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের বাস্তব সম্ভাবনা তিনি স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছেন বলে জানান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ডিসি, এসপিসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার প্রথম সেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন সিইসি। তিনি বলেন, “ডিসি ও এসপিরা আমাদের কাছে ভিভিআইপি। আইন থাকলে এখনই ঘোষণা করে দিতাম। একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, আরেকজন প্রিজাইডিং অফিসার।”
নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে ঢাকা শহরে পোস্টার ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি তুলে ধরেন সিইসি। তিনি বলেন, শহরজুড়ে পোস্টার দেখা গেলেও সেগুলো অপসারণের দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। প্রতিটি কাজের প্রচার হয়, কিন্তু পোস্টার সরানোর বিষয়টি তেমনভাবে দেখা যাচ্ছে না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
অভিযোগ ব্যবস্থাপনা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তার ভাষায়, নির্বাচন কমিশন যেন শুধু অভিযোগ গ্রহণের দপ্তরে পরিণত না হয়, সে জন্য জনগণকে জানাতে হবে কোথায় এবং কীভাবে অভিযোগ জানাতে হবে। এজন্য নির্দিষ্ট অভিযোগ সেন্টার স্থাপন করে সেখান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে অভিযোগ পাঠানোর ব্যবস্থার ওপর জোর দেন তিনি।
সভায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়েও সতর্কবার্তা দেন সিইসি। ময়মনসিংহে একজন হিন্দুকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনকে আগেভাগেই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মতবিনিময় সভার আরেক পর্বে মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশে সিইসি বলেন, “আপনারা বুক ফুলিয়ে যখন আমাকে সাহস দেবেন, আমিও তখন সাহসী হব। আপনারা আইনের আলোকে সাহসী সিদ্ধান্ত নিলে নির্বাচন কমিশন আপনাদের পাশে থাকবে।” তিনি আরও বলেন, তাকে খুশি করার প্রয়োজন নেই, বরং আইনের শাসন নিশ্চিত করাই প্রশাসনের মূল দায়িত্ব।
সভায় নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশন আর রক্তপাত বা মব দেখতে চায় না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠ প্রশাসনের স্বাধীনতায় কোনো বাধা দেওয়া হবে না বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, মাঠ প্রশাসনের ভয়ের কোনো কারণ নেই এবং কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে আশাবাদী।
একই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমেদ ডিসি ও এসপিদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, তারা প্রশাসনের জন্য লবণের মতো গুরুত্বপূর্ণ। সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমসহ নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।


এই বিভাগের আরো খবর