কপিলমুনি (খুলনা) অফিস: খুলনার কপিলমুনির কাশিমনগরে ঝুলন্ত অবস্থায় বিধবা নারী রশিদা বেগম(৩৫) এর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হত্যার অভিযোগে তার দেবর মোঃ মহিদুল গাজী (পিতা- মৃতঃ এছেম গাজী)কে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও পারিবারিক সুত্র জানায়, কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের মৃতঃ এনামুল গাজীর স্ত্রী রশিদা বেগম প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) তার ঘরে ঘুমাতে যান, ভোর রাতে তার দেবর মোঃ মহিদুল গাজী তাকে বাইরে ডেকে নেন।
শনিবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ীর সামনের লিচু গাছে ওড়নায় পেচানো রশিদার মৃতদেহ দেখে
পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সূত্র জানায়, মৃত দেহের নাকে ও যৌনাঙ্গে রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা দেবর মোঃ মহিদুলকে ধরে শনিবার সকালে পুলিশে দিলে পুলিশ তাকে আটক করে। এদিকে তার মেয়ে ও এলাকাসীর দাবী তাকে হত্যা করা হয়েছে। আটক মহিদুলের স্ত্রী জাকিয়া বেগম তারপর থেকে পালাতক রয়েছেন। এদিকে মৃতের ছেলে রিফাত গাজী বাদী হয়ে তার কাকা মহিদুলসহ আজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে ১৩ ডিসেম্বর পাইকগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, যার নং ০৭। পাইকগাছা সার্কেল এসপি মোঃ আমীর হামজা রবিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। এসময় পরিবার ও এলাকার লোকজনের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন তিনি। মৃতের মেয়ে তাসমিরা খাতুনের দাবী, “তার মাকে কাকা মহিদুল হত্যা করেছে, তিনি এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার চান, জড়িতদের ফাঁসি চান।” এবিষয়ে মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন,
“পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট না আসলে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। আমাদের তদন্ত কাজ
চলছে।” পাইকগাছা সার্কেল এসপি মোঃ আমীর হামজা বলেন, “ঘটনায় ১জন গ্রেফতার
হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, খুব গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি
ছাড়াও কেউ জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।