কপিলমুনি (খুলনা) অফিস: কপিলমুনির কাশিমনগরে ঝুলন্ত অবস্থায় বিধবা নারী দুই সন্তানের জননী রশিদা বেগম(৩৫) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের মৃতঃ এনামুল গাজীর স্ত্রী রশিদা বেগম প্রতিদিনের ন্যায় তার ঘরে ঘুমাতে যায়। শনিবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ীর
সামনের লিচু গাছে তাকে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেন, এরপর থানা পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার
করে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সূত্র
জানায়, মৃত দেহের নাকে ও যৌনাঙ্গে রক্তের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনায় স্থানীয়দের দাবী, তার দেবর মহিদুল
গাজী (পিতা মৃতঃ এছেম গাজী)কে ধরে শনিবার সকালে পুলিশে দিলে পুলিশ তাকে আটক করে।
এদিকে তার মেয়ে ও এলাকাসীর দাবী তাকে হত্যা করা হয়েছে। মৃতের মেয়ে তাসমিরা খাতুন (১৬)
বলেন, “আমার মাকে আমার ছোট কাকা মহিদুল গাজী হত্যা করেছে, কারণ সে আমার মায়ের
কাছ থেকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অনেক টাকা নিয়েছে। আমার মাকে বিভিন্ন সময় সে
কুপ্রস্তাব দিত এবং বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতো। আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই,
উল্লেখ্য ছোট ভাই মহিদুল গাজী ইতিপূর্বে তার মেজভাই এনামুলের স্ত্রীকে ফুসলিয়ে বিয়ে
করে বর্তমান সেই স্ত্রী তার সংসারে রয়েছে। এরপর তার মেঝভাই এনামুল দ্বিতীয় বিয়ে করে
রশিদাকে ঘরে আনে, কয়েক বছর পর এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে এনামুল মৃত্যুবরণ করেন।
এবার ছোট ভাই মহিদুলের আবারো লোলুপ দৃষ্টি পড়ে মৃত এনামুলের স্ত্রী রশিদার উপর।সেই থেকে
রশিদাকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব এবং বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ঘটনার দিনও
মহিদুল রশিদার ঘরে এসে রশিদাকে ডেকে তুলে নিয়ে যায়। এবিষয়ে পাইকগাছা থানার অফিসার
ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম কিবরিয়া বলেন, “মৃতদেহ উদ্ধার করেছি, পোস্ট মর্টেমের জন্য
মেডিকেলে পাঠিয়েছি, আত্মহত্যা কি হত্যা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচেছ না। তবে
মৃতের যৌনাঙ্গে রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে। স্থানীয় বিক্ষুব্দ জনতার দাবীর মুখে তার দেবর মহিদুলকে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে