শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২০ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মোরেলগঞ্জে যাদু শসা চাষে সাফল্য

প্রতিনিধি: / ৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

মেহেদী হাসান লিপন, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) সংবাদদাতা : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মালচিং পদ্ধতিতে শীতকালীন ্য়ঁড়ঃ;যাদু শস্য়াঁড়ঃ; চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক পারভেজ।
উপজেলার আলতিবুরুজবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ খানের ছেলে পারভেজ খান। বেকার
জীবনে দুশ্চিন—ায় সময় কাটছিলেন। ছেলেমেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে সংসার চলবে।
অভাবে কোনভাবেই ছাড়ছে না। হিমসিম খাচ্ছেন সংসার চালানোর চিন্তায়। নিজ ক্রয়কৃত ১৫
শতক জমি এক সময়ে সামান্য ধান হতো। সেই জমিতে এখন কৃষি দপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী
মালচিং পদ্ধতিতে এ প্যাটান মাচা তৈরি করে যাদু শসা চাষ করে এখন গোটা উপজেলায় সারা
জাগিয়েছেন সফল চাষি পারভেজ খান। বীজ রোপনের ৭০/৮০ দিনের মধ্যে প্রতিটি শসা গাছে
ফলন ধরা শুরু হয়। এ পর্যন্ত ক্ষেত থেকে ৫ বারে ৪৫ মন শসা তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। প্রতিমন
শসা প্রথমে ২ হাজার পরবর্তীতে ১৮শ’ টাকা দরে প্রায় ৯০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পেরেছেন।
আরও ৩/৪ বার শসা তুলতে পারবেন তিনি জানান। যেখানে সাধারণ শসা প্রতি মন বাজারে বিক্রি
হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়। যাদু শসা প্রতিমনে বারতি পাচ্ছেন ৮শ’ টাকা। এ
প্রজাতির ফলনের আয়ুষ্কাল ৪২ দিন। বাজারে এ শসার চাহিদা দিগুন। খেতে সুস্বাধু মিষ্টি।
সাইজ সাধারণ শসার চেয়ে বড়, কালার ভালো থাকায় দামও পাচ্ছেন বেশী কৃষক। পারভেজ খান
বলেন, ১৫ শতক জমিতে যাদু শসা উৎপাদনে বীজ, ওষুধ, মারচিং পেপার, শ্রমীক মজুরি দিয়ে ব্যায়
হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এ ক্ষেত থেকে লক্ষাধিক টাকার বেশী শসা বিক্রি করতে পারবেন বলে
আশাবাদি। সে এ পদ্ধতিতে ভালো ফলন পাওয়ায় আনন্দিত। বিশেষ করে বিভিন্ন স্থান থেকে চাষিরা
তার ক্ষেত দেখতে এসে তাদেরও আগ্রহ বাড়ছে। এ ফলন দেখে আগামি বছরে অনেক কৃষকই এ
যাদু শসা চাষ করবেন। পরিশ্রম সফলতার মূল চাবিকাঠি। তার বেকার জীবন ঘুচিয়ে উদ্যোক্তা
সৃষ্টি হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, তার ইউনিয়নে এক টুকরো জমি কোথাও
খালি থাকবে না। সেক্ষেত্রে কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে নতুন নতুন ফসল উৎপাদনে চাষিদেরকে
আধুনিক প্রশিক্ষন সময় উপযোগী পরামর্শ। যে কারনেই আজ সফল চাষি পারভেজ খান এখন
গোটা উপজেলার দৃষ্টান্ত।


এই বিভাগের আরো খবর