বিদেশ : জাপানে মদ্যপ অবস্থায় সাইকেল চালানোর অভিযোগে ধরা পড়ায় প্রায় ৯০০ জনের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এ ধরনের ব্যক্তিরা গাড়ি চালানোর সময় উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থগিতের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। জাপানে সাইকেল আরোহীদের জন্য কঠোর শাস্তি সংবলিত নতুন ট্রাফিক আইন কার্যকরের ফলে এই উল্লম্ফন দেখা গেছে। গত বছরের নভেম্বরে চালু হওয়া নতুন বিধি অনুযায়ী, মদ্যপ অবস্থায় সাইকেল চালালে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ইয়েন (তিন হাজার ২০০ ডলার) জরিমানা হতে পারে। মদ্যপ সাইকেল আরোহী শনাক্তের মানদণ্ডও এখন কমানো হয়েছে। এখন শ্বাস পরীক্ষা (ব্রেথ অ্যানালাইসিস) শূন্য দশমিক ১৫ মিলিগ্রাম প্রতি লিটার বা তার বেশি দেখালেই শাস্তি পেতে হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী, মদ্যপ থাকলেও সাইকেল যথাযথভাবে চালাতে ব্যর্থ হলেই কেবল সাধারণত শাস্তি দেওয়া হতো। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োমিউরি শিম্বুনকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মদ্যপ অবস্থায় সাইকেল চালানো গুরুতর দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। আমি আশা করি সবাই এই নিয়ম মানবেন, মদ খেয়ে সাইকেল চালাবেন না। মেইনিচি সংবাদপত্র পুলিশের হিসেবে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত জাপানজুড়ে সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ মদ্যপ অবস্থায় সাইকেল চালাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। কোভিড মহামারির সময় সাইকেল ব্যবহারের জনপ্রিয়তা বাড়লেও দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়েছে। ২০২৩ সালে জাপানে ৭২ হাজারের বেশি সাইকেল দুর্ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা দেশটির মোট সড়ক দুর্ঘটনার ২০ শতাংশের বেশি। জাপানে হাজার বছরের সামাজিক সংস্কৃতিতে অ্যালকোহলকে মানুষের মাঝে ঘনিষ্ঠতা এবং আলোচনা সহজ করার মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়। ব্যবসায়িক আলোচনা বা জটিল বিষয় নিয়েও সাধারণত দেশীয় মদ সাকে দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। ধারণা করা হয়, অ্যালকোহল এসব আলোচনায় আরও স্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করে। আগামী এপ্রিল থেকে আরও নতুন কিছু বিধি কার্যকর হতে যাচ্ছে। সে অনুযায়ী, সাইকেল চালানোর সময় ছাতা ধরে রাখা, মোবাইল ফোন ব্যবহার, সিগন্যাল অমান্য করা এবং রাতে লাইট ছাড়া সাইকেল চালানোসহ ছোটখাটো অপরাধের জন্যও জরিমানার ব্যবস্থা থাকবে। সূত্র: বিবিসি