কপিলমুনি (খুলনা) অফিসঃ আজ ৯ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবস, ঐতিহাসিক দিন এটি। ১৯৭১ সালের এই দিনে
কপিলমুনির মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা দেশের অন্যতম এ রাজাকার ঘাঁটিতে আঘাত এনে
এলাকাটি শত্রুমুক্ত করে। জানাযায়, আধুনিক কপিলমুনির রুপকার স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ
বিহারী সাধুর সুরম্য অট্টালিকাতুল্য বাড়ীটি পাকবাহিনী আর তাদের দোসররা দখল করে দূর্ভেদ্য
ঘাঁটি তৈরী করে। এই বাড়ীর একটি কক্ষে এলাকার সুন্দরী যুবতীদের ধর্ষণ করতো তারা, একটি
কক্ষে গৃহপালিত পশু ধরে এনে রেখে রান্না করতো, অন্য একটি কক্ষে তারা রাত্রী যাপন করতো। ঐ ভবন
থেকেই তারা অত্রালাকায় যুদ্ধ ও শোষণ করার নীল নকশা আঁকতো। ডিসেম্বরের ৬, ৭ ও ৮ তারিখ
বিরতীহীন যুদ্ধ চলে, অবশেষে ৯ তারিখ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ১৫৫ জন রাজাকার মুক্তি
বাহিনীর কাছে আত্মসমার্পন করে। এরপর কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরের মাঠে জনতার রায়ে
৭জন দূর্ধর্ষ রাজাকারকে ভয়ংকর শাস্তি দিয়ে মারা হয়, আর বাকিদের প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে
মারা হয়। আজকের এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে “৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবস কল্যাণ
ট্রাস্ট” সকাল ৮ টায় স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করেছে। ওই ট্ধসঢ়;্রাস্টের উপদেষ্টা বীর
মুক্তিযোদ্ধা সরদার ফারুখ আহম্মেদ বলেন, “৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবস কল্যাণ ট্রাস্ট এর
পক্ষ থেকে সকাল ৮ টায় স্থানীয় বদ্ধভূমির স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ছোট পরিসরে
স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।