বিদেশ : ভারতীয় রুপি তার সর্বকালের সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় পৌঁছেছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে এই মুদ্রার মান ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৯০ রুপির সীমা ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ, এখন এক ডলার কিনতে ৯০ রুপিরও বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। রুপির বিনিময়দরে এই ঐতিহাসিক ধস ভারতের শেয়ারবাজার এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির। গতকাল বুধবার রুপির দরে রেকর্ড পতন হয়েছে। বাজারে লেনদেনের একপর্যায়ে ভারতীয় এই মুদ্রা ডলারের বিপরীতে ৯০ দশমিক ১৩ রুপি-তে নেমে যায়, যা আগের দিনের সর্বকালের সর্বনিম্ন ৮৯ দশমিক ৯৪৭৫ রুপির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দুর্বল বাণিজ্য প্রবাহ, পোর্টফোলিও বিনিয়োগে ধীরগতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়েই রুপির ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। রুপির এই তীব্র পতনের কারণে ভারতের শেয়ারবাজারে সতর্ক মনোভাব দেখা গেছে। এর ফলে নিফটি সূচক ২৬ হাজারের নিচে নেমে যায় এবং সেনসেঙ্ও দিনের শুরুতে প্রায় ২০০ পয়েন্ট হারায়। দুর্বল মুদ্রা মূল্যস্ফীতি বাড়াবে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে পারে—এমন নতুন উদ্বেগ ছড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রুপি কখন স্থিতিশীল হবে এবং ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে কী অগ্রগতি হয়—সেদিকেই এখন বাজারের প্রধান নজর। তাদের মতে, এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে রুপির পতন ঠেকানো যেতে পারে এবং মুদ্রাটি কিছুটা ঘুরেও দাঁড়াতে পারে। তবে ভারতের ওপর কী ধরনের শুল্ক আরোপ করা হবে, সেটাই মূল প্রভাব ফেলবে। বিশ্লেষকরা আরও উল্লেখ করেছেন, রুপির ধারাবাহিক পতন ও আরও অবমূল্যায়নের আশঙ্কাই এখন বাজারকে আরও নিচের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কারণ বিশেষ করে এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরবিআই এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করছে না। আর এই উদ্বেগের কারণেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে যাচ্ছে।