বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মিয়ানমারে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে আফিম উৎপাদন

প্রতিনিধি: / ২ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিদেশ : যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে আফিম চাষ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল বুধবার জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধ কার্যালয় (ইউএনওডিসি) থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আফিমের কাঁচামাল পপি চাষ দেশটিতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, সংঘাত ও অর্থনৈতিক সংকটে কৃষকরা অবৈধ বাণিজ্যের দিকে এতোটাই ঝুঁকছেন, গত এক বছরে পপি চাষ বেড়েছে ১৭ শতাংশ। ২০২৪ সালের পপি চাষ হতো ৪৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে, যা এ বছর বেড়ে হয়েছে ৫৩ হাজার ১০০ হেক্টর। আফগানিস্তানে উৎপাদন কমে যাওয়ায় এটি আবারও নিশ্চিত করছে যে, মিয়ানমারই এখন বিশ্বের প্রধান অবৈধ আফিম উৎপাদনকারী দেশ। ইউএনওডিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি ডেলফিন শান্টজ এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমার একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। পপি চাষের ব্যাপক বিস্তার দেখায় যে, সামপ্রতিক বছরগুলোতে আফিম অর্থনীতি কতটা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। মিয়ানমার জান্তা সরকারের কোনও মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধে সাড়া দেননি। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে অস্থিরতা চলছে। অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করলে দেশজুড়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। এদিকে, চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যেই ২৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ব্যাপকভাবে সমালোচিত সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জান্তা সরকার। কয়েক বছর ধরে কমার পর ২০২০ সাল থেকে পপি চাষ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে বলে ইউএনওডিসি জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, একই সময়ে আফিমের মূল্য দ্বিগুণ হওয়ায় চাষ বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়েছে। চাষ বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি হার দেখা গেছে পূর্ব শান প্রদেশে, যা ৩২ শতাংশ এবং চিন প্রদেশে ২৬ শতাংশ। দক্ষিণ শানই প্রধান উৎপাদন এলাকা হিসেবে রয়ে গেছে, যেখানে জাতীয় মোট উৎপাদনের ৪৪ শতাংশ হয়। এই তিন অঞ্চলেই বর্তমানে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াই চলছে। জরিপে প্রথমবারের মতো ভারতের সীমান্তবর্তী সাগাইং অঞ্চলের উত্তরাংশে ৫৫২ হেক্টর পপি চাষ শনাক্ত হয়েছে, যা ভৌগোলিকভাবে আরও বিস্তারের ইঙ্গিত দেয়। ইউএনওডিসি বলেছে, চিন রাজ্যে পপি চাষ বৃদ্ধি হয়ে এটি মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্ত এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য নতুন আশঙ্কা তৈরি করছে।


এই বিভাগের আরো খবর