বাগেরহাটে অধিকাংশ ভাতাপ্রাপ্ত বিধবা ভাতার টাকা ওষুধ কিনতে ব্যয় করেন
প্রতিনিধি:
/ ১৬
দেখেছেন:
পাবলিশ:
সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫
শেয়ার করুন
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট জেলার রামপালে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতাপ্রাপ্ত নারীদের অধিকাংশই হতদরিদ্র এবং দরিদ্র শ্রেণীর। তারা এই ভাতার টাকা নিজেদের জন্য ওষুধ কিনতে ব্যয় করেন। উপজেলার দু’টি ইউনিয়নে প্রায় দুই শত জনের উপর পরিচালিত সামাজিক নিরীক্ষা থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
সোমবার( ০১ ডিসেম্বর) সকালে নির্মাণ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা আয়োজিত “সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে জনগোষ্ঠীর অধিকার এবং আমাদের করণীয় ” শীর্ষক গণশুনানী অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌসি। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো:শাহিনুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়ালিউল ইসলাম, উপজেলা সমবায় অফিসার ও গৌরম্ভা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক এস এম শরিফুল ইসলাম।
রামপাল উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি এম সবুর রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই গণশুনানীতে এলাকার ভাতাপ্রাপ্ত, ভাতার জন্য আবেদন করে না পাওয়া বিধবা, তালাক প্রাপ্তা ও স্বামী নিগৃহীতারারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় অংশ নেন ইউপি সচিব সুশীল চন্দ্র দাস, চম্পক কুন্ডু, মনোজিত কুমার মুখার্জী, মো: জিয়াউর রহমান, মো: মোফাজ্জেল হোসেন, মাসুদুজ্জামান পল্টু , নাগরিক নেতা এন্জেল মৃধা, মোতাহার হোসেন মল্লিক, ছবি রানী মন্ডল, কাজী ফারজানা মুন্নি, মেহেদি হাসান, লিয়াকত হোসেন, মো: মোহতাদির, শওকত হোসেন প্রমূখ। গণশুনানী পরিচালনা ও সামাজিক নিরীক্ষার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নির্মাণ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিজিয়া পারভীন।
গণশুনানিতে জানানো হয়, নাগরিক প্রকল্পের আওতায় রামপাল সদর ও গৌরম্ভা ইউনিয়ন নাগরিক ফোরাম নিজ এলাকায় গত ১৭-২১ নভেম্বর এই জরিপ পরিচালনা করে। জরিপকালে ১২২ জন ভাতা প্রাপ্তদের মধ্যে ৬৩ জনই জানান যে, তারা ভাতার টাকায় নিজেদের জন্য ওষুধ কিনে থাকেন। ৩৯ জন কেনেন খাদ্য সামগ্রী। ১৭ জন খাদ্য ও ওষুধ দুটোর জন্যই ভাতার টাকা ব্যয় করেন। ভাতার পরিমাণ অপ্রতুল দাবি করে তারা ভাতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
জরিপে আরও উঠে আসে যে, হতদরিদ্র ও দরিদ্র এসব প্রান্তিক নারীদের অধিকাংশই নিরক্ষর। অনেকে প্রাথমিকের গণ্ডি পার হননি। সন্তোষজনক শিক্ষা না থাকায় এসব নারীরা নিজেদের জীবন মান উন্নয়নে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেননি।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় এবং রাষ্ট্রীয় সেবা সুবিধায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে “নাগরিক” প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার দু’টি ইউনিয়নে নাগরিক ফোরাম কাজ করছে। জিএফএ কনসাল্টিং গ্রুপের অর্থায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও আমরাই পারি জোট এর সহযোগিতায় নির্মাণ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা “নাগরিক” প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।