বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

প্রতিনিধি: / ২৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫

আনন্তর্জাতিক ডেস্ক : ন্যাশনাল হেরাল্ড অর্থপাচার মামলায় ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী ও তার মা সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে নতুন এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং (ইওডব্লিউ) ছয়জনের বিরুদ্ধে যে নতুন এফআইআর করেছে, তার মধ্যে এই দুই নেতাও রয়েছেন। ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্ত প্রতিবেদন থেকে উঠে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর-এ ওই ছয় ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীর পাশপাশি এফআইআর-এ স্যাম পিত্রোদাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল), ইয়াং ইন্ডিয়ান এবং ডোটেঙ্ মার্চেনডাইজ প্রাইভেট লিমিটেড নামের তিনটি প্রতিষ্ঠানকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল হেরাল্ডের মূল প্রতিষ্ঠান এজেএল-কে প্রতারণার মাধ্যমে দখলে নেওয়ার জন্য অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। অভিযোগ আছে, কলকাতাভিত্তিক শেল কোম্পানি ডোটেঙ্ মার্চেনডাইজ ইয়াং ইন্ডিয়ানকে ১ কোটি রুপি দিয়েছিল। এই ইয়াং ইন্ডিয়ানে রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীর ৭৬ শতাংশ মালিকানা আছে। অভিযোগ অনুযায়ী, এই টাকার মাধ্যমে ইয়াং ইন্ডিয়ান ৫০ লাখ রুপি কংগ্রেসকে পরিশোধ করে এবং এজেএল-এর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন এজেএল-এর সম্পদের মূল্য ছিল প্রায় ২ হাজার কোটি রুপি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ অক্টোবরের এফআইআরটি করা হয়েছে। ইডি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দিল্লি পুলিশকে সরবরাহ করেছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- পিএমএলএ’র ধারা ৬৬(২) অনুযায়ী, ইডি চাইলে যেকোনও সংস্থাকে নির্দিষ্ট অপরাধে মামলা ও তদন্ত করতে অনুরোধ করতে পারে। এছাড়া এই এফআইআরটি এমন সময়ে সামনে এলো, যখন দিল্লির আদালত ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে।

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী
মামলার শুরু ২০১২ সালে। সেসময় বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অভিযোগ করেন, এজেএল অধিগ্রহণে কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। এজেএল-ই মূলত ১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহরু এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা ন্যাশনাল হেরাল্ড প্রকাশ করত। ২০০৮ সালে আর্থিক সংকটে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন এজেএলের বকেয়া ঋণ ছিল ৯০ কোটি রুপি। কংগ্রেস দল ১০ বছরে প্রায় ১০০ কিস্তিতে এই ৯০ কোটি রুপি ঋণ হিসেবে দেয়। কংগ্রেসের দাবি, এজেএল বা ন্যাশনাল হেরাল্ড ঋণ শোধ করতে পারেনি, তাই ঋণকে শেয়ারে রূপান্তর করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক দল কোনও কোম্পানির শেয়ারের মালিক হতে পারে না। তাই শেয়ারগুলো দেওয়া হয় ইয়াং ইন্ডিয়ান নামে অলাভজনক কোম্পানিকে, আর এই কোম্পানিটি গঠিত হয়েছিল ২০১০ সালে। এই কোম্পানির ৩৮ শতাংশ শেয়ার সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর, বাকিগুলো মতিলাল ভোরা, অস্কার ফার্নান্দেস, স্যাম পিত্রোদা ও সুমন দুবের। এইভাবেই ইয়াং ইন্ডিয়ান এজেএল-এর অধিকাংশ শেয়ারের মালিক হয় এবং গান্ধী পরিবারের দুই সদস্য এর পরিচালক হন।


এই বিভাগের আরো খবর