সর্বশেষ :
ফলোআপ: পাইকগাছায় কোটিপতির ভবন রক্ষায় সড়ক সরলীকরণ না হয়ে হচ্ছে বাঁকা: নকশা পরিবর্তন ও মাদ্রাসা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন পাইকগাছায় আমন ধানের ফলন ভাল হলেও ধানের মূল্য কম হওয়ায় কৃষক হতাশ ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ভাংচুর করে নথিতে আগুন দিলো বিক্ষুদ্ধ জনতা হাদি হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার শাহবাগ অবরোধ চট্টগ্রামে রাতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আটক ৮ ছায়ানটের ভেতরে পোড়া বই আর ভাঙা বাদ্যযন্ত্র, বাইরে কড়া পুলিশ পাহারা আজ সন্ধ্যায় দেশে আসবে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ, জানাজা শনিবার জব্দ রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা লুকানো কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছে ইউক্রেন
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

অস্ট্রেলিয়ায় শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, হাইকোর্টে কিশোর-কিশোরীর চ্যালেঞ্জ

প্রতিনিধি: / ৩০ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫

বিদেশ : অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আইনটি সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে ২ কিশোর-কিশোরী। তারা হলো—নোয়াহ জোন্স ও মেসি নেইল্যান্ড। তাদের অভিযোগ, এটি অসাংবিধানিক এবং তাদের মুক্ত যোগাযোগের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে এই আইন কার্যকর হবে। এর আওতায় মেটা, টিকটক, ইউটিউবসহ সব প্ল্যাটফর্মকে নিশ্চিত করতে হবে যে, ১৬ বছরের নিচের কেউ অ্যাকাউন্ট রাখতে পারবে না। সরকার এই আইনকে শিশুদের ক্ষতিকর কনটেন্ট ও অ্যালগরিদম থেকে সুরক্ষার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে দাবি করছে। কিশোররা বলছে, আইনটি শিশুদের অধিকার উপেক্ষা করছে। মেসি নেইল্যান্ড বলেন, ‘আমাদের চুপ করানো উচিত নয়। এটা ঠিক অরওয়েলের ১৯৮৪ বইয়ের মতো ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে।’ মামলার খবরের পর যোগাযোগমন্ত্রী আনিকা ওয়েলস পার্লামেন্টে বলেন, ‘সরকার কোনো হুমকি, আইনি চ্যালেঞ্জ বা বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের চাপের কাছে নত হবে না। অস্ট্রেলীয় অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আমরা দৃঢ় থাকব।’ নিউ সাউথ ওয়েলসের আইনপ্রণেতা জন রাডিকের নেতৃত্বে থাকা ডিজিটাল ফ্রিডম প্রজেক্ট (ডিএফপি) জানায়, মামলাটি গতকাল বুধবার উচ্চ আদালতে দাখিল হয়েছে। তাদের মতে, কিশোর-কিশোরীরা এখন তথ্য ও যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এই নিষেধাজ্ঞা বিশেষ করে প্রতিবন্ধী, প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশু, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কিশোর-কিশোরীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। নোয়াহ জোন্স সরকারের নীতিকে ‘অলস’ বা দায়সারা বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল যুগের সন্তান। আমরা চাই এই জগত সম্পর্কে শিক্ষিত ও সচেতন থাকতে। সরকারের উচিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আমাদের চুপ করিয়ে দেওয়া নয়। ’অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, ইউটিউবের মালিকানা প্রতিষ্ঠান গুগলও এই আইনের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা ভাবছে। প্রযুক্তি কম্পানিগুলো এই আইনের বিরোধিতা করলেও জরিপে বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ার অভিভাবক সরকারের এই নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করছেন। তবে কিছু মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এতে কিশোর-কিশোরীরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে এবং ইন্টারনেটের আরো অনিরাপদ ও নিয়ন্ত্রণহীন অংশের দিকে ঝুঁকতে পারে। সূত্র : বিবিসি।

 


এই বিভাগের আরো খবর