সর্বশেষ :
ফলোআপ: পাইকগাছায় কোটিপতির ভবন রক্ষায় সড়ক সরলীকরণ না হয়ে হচ্ছে বাঁকা: নকশা পরিবর্তন ও মাদ্রাসা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন পাইকগাছায় আমন ধানের ফলন ভাল হলেও ধানের মূল্য কম হওয়ায় কৃষক হতাশ ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ভাংচুর করে নথিতে আগুন দিলো বিক্ষুদ্ধ জনতা হাদি হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার শাহবাগ অবরোধ চট্টগ্রামে রাতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আটক ৮ ছায়ানটের ভেতরে পোড়া বই আর ভাঙা বাদ্যযন্ত্র, বাইরে কড়া পুলিশ পাহারা আজ সন্ধ্যায় দেশে আসবে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ, জানাজা শনিবার জব্দ রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা লুকানো কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছে ইউক্রেন
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

তাইওয়ানের কাছে জাপান ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করলে চীন ‘আত্মরক্ষায় সক্ষম’

প্রতিনিধি: / ৩২ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

বিদেশ : তাইওয়ান দ্বীপের কাছে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করতে পারে জাপান – এমন ইঙ্গিত পাওয়ার পর চীন জানিয়েছে, তারা নিজেদের ভূখণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘সংকল্পবদ্ধ এবং সক্ষম’। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ‘জাতীয় আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার দৃঢ় সংকল্প এবং ক্ষমতা চীনের রয়েছে।’ তাইওয়ান থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইয়োনাগুনি দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্র মোতায়েনের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে জাপানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্তব্যের পর বেইজিং থেকে এই বক্তব্য এলো। মাও বলেন, ১৯৪৫ সালের পটসডাম ঘোষণা অনুসারে, টোকিওকে প্রতিরক্ষামূলক প্রকৃতির কৌশল অনুসরণ করতে হবে এবং তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো অধিকার নেই। তবে এটি উদ্বেগজনক যে, সামপ্রতিক বছরগুলোতে জাপান তার নিরাপত্তা নীতি উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধন করেছে। তারা ধীরে ধীরে প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি করেছে, অস্ত্র রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে, আক্রমণাত্মক অস্ত্রের উন্নয়ন অনুসরণ করেছে এবং পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের তিনটি নীতি পরিত্যাগ করার পরিকল্পনা করছে। তার মতে, টোকিওর কিছু রাজনৈতিক শক্তি সামরিকীকরণের পথ অনুসরণ করছে। এর ফলে জাপান এবং আশেপাশের অঞ্চলকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। চীনা কূটনীতিক স্মরণ করিয়ে দেন, এই বছর জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা গণ-প্রতিরোধ যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী, সেই সঙ্গে জাপানি দখল থেকে তাইওয়ানের মুক্তির ৮০তম বার্ষিকী। মাও নিং জোর দিয়ে বলেন, চীন কোনোভাবেই জাপানের অতি-ডানপন্থী শক্তিগুলোকে ‘ঐতিহাসিক অগ্রগতির বিপরীত’ করতে দেবে না এবং তাইওয়ান ইস্যুতে বা জাপানি সামরিকবাদের পুনরুজ্জীবনে বহিরাগত হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না।

তাইওয়ান নিয়ে বেইজিং এবং টোকিওর মধ্যে দ্বন্দ্ব
এর আগে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি উল্লেখ করেছিলেন, তাদের দেশ তাইওয়ান থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইয়োনাগুনি দ্বীপে আত্মরক্ষা বাহিনীর গ্যারিসনে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা ‘ত্যাগ করেনি’। জাপানের নতুন ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচিও সমপ্রতি মন্তব্য করেন, তাইওয়ানের আশেপাশে সম্ভাব্য সামরিক সংকট জাপানের জন্য একটি ‘অস্তিত্বগত হুমকি’ তৈরি করবে। এই পরিস্থিতিতে টোকিও ‘সম্মিলিত আত্মরক্ষার অধিকার’ প্রয়োগ করতে বাধ্য করতে পারে। এই ধরনের মন্তব্যগুলো বেইজিংয়ে তীব্র অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা বাড়িয়েছে। ১৯৪৯ সাল থেকে তাইওয়ান স্বাধীনভাবে শাসিত হয়ে আসছে, যখন চিয়াং কাই-শেকের নেতৃত্বে কুওমিনতাং বাহিনীর অবশিষ্টাংশ চীনের গৃহযুদ্ধে পরাজয়ের পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তখন থেকে দ্বীপটি প্রাক্তন চীন প্রজাতন্ত্রের পতাকা এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রতীক বজায় রেখেছে। বেইজিং তাইওয়ানকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের একটি প্রদেশ হিসাবে বিবেচনা করে। এই অবস্থান বেশিরভাগ দেশ সমর্থন করে।


এই বিভাগের আরো খবর