আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিযোগী প্রার্থীদের হলফনামায় দেশি সম্পদের পাশাপাশি বিদেশে থাকা সকল সম্পদের হিসাব দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) সিলেটে দুদক বিভাগীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনী হলফনামায় দেশি বা বিদেশি সম্পদের হিসাব গোপন করা হলে তা অন্যায় বলে গণ্য হবে। কারও অনাপার্জিত সম্পদ পাওয়া গেলে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তাঁর ভাষায়, সৎ প্রার্থীকে নির্বাচন করা জরুরি, প্রার্থী কোন রাজনৈতিক দলের তা নয়, বরং তিনি সৎ কি না সেটাই মূল বিষয়।
প্রেক্ষাপটে তিনি দুদকের সীমাবদ্ধতার কথাও তুলে ধরেন। উদাহরণ হিসেবে ২০০৮ সালের একটি ঘটনা উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, সে সময় শেখ হাসিনার হলফনামায় ৫ দশমিক ২১ একর কৃষিজমির উল্লেখ থাকলেও দুদকের অনুসন্ধানে ২৯ একর জমির তথ্য পাওয়া যায়। তাঁর দাবি, অনুসন্ধান সত্ত্বেও সে সময় কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দুদকের কাজে বাহ্যিক চাপ আছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সংস্থার ওপর কোনো চাপ নেই, তবে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দুদকের কাজ তথ্য সংগ্রহ ও আদালতে উপস্থাপন করা, বিচারকার্য সম্পূর্ণভাবে আদালতের দায়িত্ব বলেও জানান তিনি। পরে তিনি দুদকের গণশুনানিতে অংশ নেন।