রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকা থেকে আহমেদ সাব্বির নামে এক ছাত্রদল নেতার হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, নিহত সাব্বিরের গলায় ফাঁসের দাগ এবং দুই হাত বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি ফ্লোরে পড়ে ছিল। তবে শরীরে আঘাতের অন্য কোনো চিহ্ন মেলেনি। ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রফিক আহমেদ বলেন, “সাব্বিরের মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত নয়। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড, সেটি তদন্ত করে জানা যাবে। হাতে রশির দাগ থাকায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
সাব্বিরের সহকর্মী আকাশ জানান, সকালে সাব্বিরের রুমমেট ফোন করে জানান দরজা খুলছে না। পরে তিনি গিয়ে দরজা ভাঙেন এবং দেখেন, সাব্বির ফ্যানের সঙ্গে থাকা রশি ছিঁড়ে মেঝেতে পড়ে আছে, হাত বাঁধা অবস্থায়। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসক জানান, তিনি এর আগেই মারা গেছেন।
ওই বাসায় অতিথি হিসেবে থাকা সোহেল বলেন, সকালে সাব্বির তাকে নাস্তা আনতে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন। ফিরে এসে দরজা বন্ধ পেয়ে দারোয়ানকে খবর দেন। পরে দরজা ভেঙে সাব্বিরের নিথর দেহ পাওয়া যায়।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সাব্বির একাই মোহাম্মদপুরে থাকতেন। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়িতে। বড় ভাই আব্দুল আজিজ জানান, “কয়েকদিন আগেই তার সঙ্গে কথা হয়েছে। মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে এসেছি। কিছুই বুঝতে পারছি না।”
ছাত্রদলের এই তরুণ নেতার আকস্মিক মৃত্যুতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর শোক নেমে এসেছে। অনেকে হাসপাতালে এসে শেষবারের মতো সহযোদ্ধার মুখ দেখার জন্য ভিড় করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।