স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বুধবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে প্রশাসন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বললেন, “দেশের জনগণ এখন নির্বাচনমুখী। নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো হুমকি নেই। নির্বাচন খুব ভালোভাবে হয়ে যাবে। নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এর জন্য প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।”
‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে আমাদের কী ধরনের প্রস্তুতি হয়েছে এগুলো আলোচনা হয়েছে। এছাড়া গাজীপুরের কিছু সমস্যা রয়েছে সে বিষয়গুলোও সভায় আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে সাংবাদিকরা সত্য প্রকাশ করায় অনেক গুজব কমে গেছে’-উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট উপদেষ্টা।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি ও মাদক। এ দুটিকে সমাজ থেকে কীভাবে দূর করতে পারি এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মাদকের সমস্যা দূর করার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। মাদক গ্রামে-গঞ্জে সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। সবার সহযোগিতা না থাকলে দিনদিন এটি বেড়েই যাবে। এজন্য সবাইকে সচেতন করতে হবে।”
গাজীপুর শিল্প এলাকা হওয়ায় এখানে অনেক লোক রুটি-রোজগারের জন্য আসে। এদের অনেকেই এখানকার বাসিন্দা না। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে। তাদের সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে। এখানে ঝুট ব্যবসায়ীর সংখ্যাও বেশি। তারাও বিভিন্ন সময়ে অনেক সমস্যা করে থাকে। এখানে চাঁদাবাজও রয়ে গেছে, এদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সভায় এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিভিন্ন গুজবের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ অনেক সময় অনেক গুজব রটায়। সাংবাদিকরা সত্য ঘটনাটি প্রকাশ করায় পার্শ্ববর্তী দেশের অনেক গুজব কমে গেছে। পার্শ্ববর্তী দেশের গুজব ঠেকানের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে আমাদের দেশের সাংবাদিকরা।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যদি সত্য ঘটনা তুলে ধরেন তাহলে সবাই বুঝবে পার্শ্ববর্তী দেশ যে গুজব রটাচ্ছে তা সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার করার জন্য যেসব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরও অনেক দায়িত্ব আছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনেরও একটা বড় ধরনের কাজ রয়ে গেছে। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে কাজ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো সমস্যা হবে না।
আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর জামিনে মুক্তির বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, জামিনে বের হয়ে তারা যদি কোনো অপকর্ম করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। জামিন দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন।