মেহেদী হাসান লিপন, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) সংবাদদাতা : শারীরিক প্রতিবন্ধী আতাউল্লাহ সানি (২০)। জীবন সংগ্রামে এক আত্মপ্রত্যয়ী এক কিশোর। পরনির্ভরশীলতা ও বেকারত্ব দূরীকরণে উজ্জ্বলতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সানি।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা গ্রামের ইব্রাহিম শেখের
ছেলে। দুই ভাই বোনের মধ্যে সানি বড়।জন্ম থেকেই সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। উচ্চতা সাড়ে
তিন ফুট। বয়সের তুলনায় তার উচ্চতা কম। পাশাপাশি সমস্যা রয়েছে ঘাড়ে। প্রতিবন্ধী
সত্ত্ধেসঢ়;বও আতাউল্লাহ সানি কেউর ঘাড়ের বোঝা হতে নারাজ। তাই ছোটবেলা থেকেই সে
আত্মপ্রত্যয়ী কিশোর সানি নিজেই স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। প্রাথমিক গন্ডি
পেরিয়ে ৮ম শ্রেণির পড়াশোনার পাশাপাশি জুতার দোকানে সেলসম্যানের কাজে শুরু করে।
একাধিক দোকানে কাজ করে অর্থিক পূঁজি সঞ্চয় করে। এভাবে তিন বছর কেটে যায়।
কাজের ফাঁকে পড়াশোনার কাজও চালিয়ে যেত থাকে। দোকানদারির পর রাতে পড়াশোনা করে
ক্লাশ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এভাবে অদম্য ইচ্ছা নিয়ে ২০২৪ সালে দাখিল পাশ করে। পিতার
সংসারে কোন অভাব অনটন না থাকলেও নিজেকে স্বাবলম্বী করার প্রয়াসে মোরেলগঞ্জের
শাপলা মার্কেটে দোকান ভাড়া নিয়ে চা বিস্কুট সহ বেকারি সামগ্রীর দোকান করেন।
পিতার সংসারে তার কোন আর্থিক সাপোর্ট দিতে হয়।বরং ভরন পোষণ সবই চলে পিতার
সংসারে। যা উপার্জন করে সবাই জমিয়ে রাখে। বর্তমানে সে এখন পুরোদমে চালিয়ে
যাচ্ছে তার ব্যবসা। তার ইচ্ছা ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়া। পাশাপাশি তার ইচ্ছা পড়াশুনা
করে প্রতিবন্ধী কোঠায় সরকারি চাকুরি নেয়া। সকাল থেকে রাত ১০ পর্যন্ত দোকান খোলা
রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বাড়ি থেকে টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার আসলে দোকানেই
দুপুরের খাবার খান। পাশের ব্যবসায়ী মসলা বিক্রেতা খলিল, ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী বলেন, এ
বয়সে অধিকাংশ ছেলেরা অড্ডা দেয়, নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরে সে বয়সে কিশোর
আতাউল্লাহ সানি কার্যক্রম একটি দৃষ্টান্ত।
আতাউল্লাহ সানি জানায়, ্য়ঁড়ঃ;আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে
চাই। ভর্তি হতে চাই স্থানীয় টেকনিক্যাল কলেজে। পড়াশোনা শেষে প্রতিবন্ধী কোঠায়
সরকারি চাকুরি নিতে চাই।