সর্বশেষ :
সাংবাদিকদের পারিশ্রমিক নিয়ে উপ-প্রেস সচিবের দীর্ঘ বার্তা ব্যানার টানানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ৮ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আনসার ব্যাটালিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরলেও নির্বাচন এ সরকারের অধীনেই: শিশির মনির বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে মারাত্মক ঝুঁকিতে দেশের সবগুলো বিমানবন্দর মোরেলগঞ্জে সাড়ে ৩ কোটি টাকায় নির্মিত অত্যাধুনিক সাইক্লোন শেল্টারের উদ্বোধন (ফলোআপ):কুতুবদিয়ায় বাপ্পী হত্যা: ৯ জনের নামে মামলা মোরেলগঞ্জে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে জার্মান সরকারের সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ প্রভাব খাটিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা ডাঃ মারুফার, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনিশ্চিত… চিতলমারীতে ২০ দিনেও ব্যবস্থা হয়নি সিলগালা করা সেই মিমি ক্লিনিকের চলছে চিকিৎসা   ১৭ বছর পর বাগেরহাটে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  উদযাপন, নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য 
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

প্রভাব খাটিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা ডাঃ মারুফার, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনিশ্চিত… চিতলমারীতে ২০ দিনেও ব্যবস্থা হয়নি সিলগালা করা সেই মিমি ক্লিনিকের চলছে চিকিৎসা  

প্রতিনিধি: / ৬ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

শেখ সৈয়দ আলী,ফকিরহাট : বাগেরহাটের চিতলমারীতে সিলগালা থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে সিজার অপারেশন করার ঘটনায় ২০ দিন পার হলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও ১২ দিন অতিবাহিত হলেও রিপোর্ট দাখিল করতে পারেনি। এতে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।
গত ৭ অক্টোবর দুপুরে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটিরত চিকিৎসক ডা. মারুফা নাসরিন সরকারি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় রোগী মুর্শিদা বেগমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করলেও, দালালের মাধ্যমে নিয়ে যান সিলগালা অবস্থায় থাকা মিম সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে তিনি এ্নেস্থিসিয়া ডাক্তার ছাড়া নিজেই সিজার অপারেশন পরিচালনা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, অপারেশনের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান ওই চিকিৎসক। পরে গুরুতর অবস্থায় মুর্শিদা বেগমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
রোগীর স্বামী রজ্জাক শেখ জানান, সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার মারুফা আমাদের খুলনা নিতে বলেছিলেন। পরে তিনি নিজেই বলেন মিম ক্লিনিকে কম খরচে অপারেশন করে দেবেন। আমরা তার কথায় বিশ্বাস করি। কিন্তু অপারেশনের পর আমার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ হলে তিনি পালিয়ে যান। এখন আমার স্ত্রী আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আমরা গরিব মানুষ, এর সঠিক বিচার চাই।
এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ স্থানীয়দের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ডা. মারুফা অন্যায় করেও বলছেন, ‘আমার কিছুই হবে না। প্রয়োজনে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করব, কিন্তু কেউ কিছু করতে পারবে না। তিনি নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত রিপোর্ট নরমাল করার চেষ্টা করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ডা. মারুফার স্বামীও সাংবাদিকদের প্রলোভন দেওয়ার চেষ্টা করেন যাতে বিষয়টি গণমাধ্যমে না আসে। এমনকি তিনি স্বীকারও করেন যে সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মকর্তা তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাবি করেছেন তদন্ত রিপোর্ট নরমাল রাখার আশ্বাসে।
বাগেরহাট ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ডা. মারুফার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বেশিরভাগই তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তিনি ভুল স্বীকার করেছেন এবং ভবিষ্যতে এমন ভুল আর করবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে সিলগালা ক্লিনিকের তালা ভাঙার বিষয়েও তদন্ত চলছে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. আ. স. মো. মাহাবুবুল আলম জানান, তদন্ত রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি। তবে শুনেছি ডা. মারুফা কমিটির কাছে দোষ স্বীকার করেছেন এবং ক্ষমাও চেয়েছেন। তিনি গুরুতর অন্যায় করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। রিপোর্ট হাতে এলে বিস্তারিত বলা যাবে।
স্থানীয়রা বলছেন, সিলগালা থাকা ক্লিনিকে চিকিৎসা কার্যক্রম চলা প্রশাসনের ব্যর্থতা প্রকাশ করছে।
তাদের দাবি, তদন্ত কমিটির বিলম্ব ইচ্ছাকৃত এবং প্রভাবিত। প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
অন্যদিকে, সচেতন মহল মনে করছে সরকারি দায়িত্বে থেকে বেসরকারি ক্লিনিকে অপারেশন করা শুধু নিয়ম ভঙ্গ নয়, বরং এটি অপরাধ। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো কঠিন হবে।#


এই বিভাগের আরো খবর