ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা পর্যন্ত পদযাত্রা করতে চেয়েছিলেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। কিন্তু শাহবাগ মোড়ের আগে থানার সামনে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দিয়েছে পুলিশ। মূলত বিশেষ নিয়োগ ও সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোসহ পাঁচ দাবিতে তারা এ পদযাত্রা করতে চেয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা প্ল্যাকার্ড ও স্লোগান দিতে দিতে যমুনা অভিমুখে যেতে চাইছেন। কিন্তু পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে সামনে এগোতে পারছেন না। এসময় অনেককে ব্যারিকেড সরাতে টানাটানি এবং পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতেও দেখা গেছে।
সংগঠনের আহ্বায়ক মো. আলী হোসেন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যমুনার দিকে যাচ্ছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাদের পথ আটকে দিয়েছে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
যে পাঁচ দফা দাবি ছিল প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের
১. প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী বেকারদের জন্য বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ করতে হবে।
৩. জাতীয় শ্রুতিলেখক নীতিমালা সংশোধন করে শ্রুতিলেখক মনোনয়নে স্বাধীনতা দিতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন ব্রেইলভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রম ও পিএইচটি সেন্টারের শূন্য পদে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা (সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ৩৫ হলে তাদের জন্য ৩৭ বছর নির্ধারণ)।