বিদেশ : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। মিয়ানমারভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে পরিচালিত এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ছয়জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার মাঝরাতে অর্থাৎ গতকাল বুধবার প্রথম প্রহরে আসাম রাইফেলস ইউনিটের সঙ্গে এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। অরুণাচল প্রদেশের নামসাই জেলার ওই অভিযানে উভয় পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ছয়জন নিহত হন। ভারত সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়, ঘাঁটিতে তল্লাশি চালিয়ে উলফা (আই) ক্যাডার এসএস সার্জেন্ট মেজর ইওন অ্যাঙ্মের মরদেহ, একটি রাইফেল, একটি আরপিজি রাউন্ড এবং তিনটি রাকস্যাক পাওয়া গেছে। অভিযান এখনও চলমান আছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে পুলিশ এবং সিআরপিএফের সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে, ২১শে অক্টোবর রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী মিয়ানমারভিত্তিক উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শিবিরে বিমান হামলা চালায়। এনএসসিএন (কেওয়াই) এর শিবিরে পরিচালিত ড্রোন হামলায় ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং শীর্ষ কমান্ডারসহ একাধিক সদস্য নিহত হয়। হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল স্বঘোষিত মেজর জেনারেল এনএসসিএন (কেওয়াই) পিয়ং কোনিয়াক। অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনা শিবিরে সামপ্রতিক হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই কোনিয়াক। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওই হামলায় অন্তত পাঁচ বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রাণ হারান। ড্রোন হামলায় শীর্ষ কমান্ডার কোনিয়াকও গুরুতর আহত হয়েছেন। ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে খাংমাই বাস্তিতে কোনিয়াকের শিবির অবস্থিত ছিল। যদিও ড্রোন হামলার বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। চলতি বছর জুলাইয়ের শুরুতে ভারতীয় সেনাবাহিনী উলফা (আই) এবং এনএসসিএন (কেওয়াই) শিবিরগুলিতে একই রকম ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। পরে উলফা (আই) জানিয়েছে যে ড্রোন হামলায় দুই শীর্ষ কমান্ডার সহ কমপক্ষে ৫ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।