আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী কোনো স্বতন্ত্র ক্ষমতা নিয়ে নয়, বরং ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. আখতার হোসেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন তিনি।
ইসি সচিব বলেন, “বর্তমানে সেনাবাহিনী যেভাবে মোতায়েন রয়েছে, ভবিষ্যতেও সেভাবেই থাকবে। এছাড়া আরপিও অনুযায়ী যেভাবে প্রস্তাব এসেছে, সেভাবেও সেনা মোতায়েন হবে। আমরা চাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক।”
এসময় তিনি আরও জানান, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বমোট প্রায় ছয় লাখ সদস্য মাঠে থাকবে। এর মধ্যে সেনা সদস্য থাকবে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ, পুলিশ দেড় লাখ এবং আনসার ও ভিডিপি থেকে আসবে সাড়ে পাঁচ লাখ সদস্য।
ভোটের সময়সীমা ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তার কথাও জানান সচিব। তিনি বলেন, “আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাঁচ দিনের জন্য মোতায়েন করা হতো, এবার প্রস্তাব এসেছে আট দিনের জন্য মোতায়েনের। ভোটের আগে তিন দিন, ভোটের দিন এবং পরে চার দিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিষয়টি কমিশন পর্যালোচনা করে দেখবে।”
সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, নির্বাচনে কেউ ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে না। তবে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমিত পরিসরে ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে।
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললে আখতার হোসেন বলেন, “নির্বাচন করার পরিবেশ রয়েছে। সভায় অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি আলোচনায় আসেনি। তবে লুট হওয়া অস্ত্রের ৮৫ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, বাকি অংশ উদ্ধারে কাজ চলছে।”
চলমান রাজনৈতিক উত্তাপ, সহিংসতা ও নিরাপত্তা উদ্বেগ সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন আশাবাদী, শক্তিশালী নিরাপত্তা কাঠামোর মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে।