বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

 সুন্দরবন  কুমিরের আক্রমণে নিহত ১

প্রতিনিধি: / ১৩৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট জেলার মংলার সুন্দরবনের করমজল এলাকায় আবারও প্রাণঘাতী কুমিরের আক্রমণ। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাঁকড়া ধরে ফেরার পথে করমজল খাল পার হতে গিয়ে এক জেলে কুমিরের মুখে পড়ে নিখোঁজ হন।

চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির জানান, নিখোঁজ জেলের নাম সুব্রত মন্ডল (৩২)। তিনি পূর্ব ঢাংমারী গ্রামের কুমুদ মন্ডলের ছেলে এবং পেশায় একজন কাঁকড়া শিকারি। বনবিভাগ থেকে বৈধ পাস নিয়েই প্রতিদিনের মতো সুন্দরবনে প্রবেশ করেন তিনি।

দুপুর আনমানিক  সাড়ে ৩টার দিকে কাঁকড়া ধরে ফেরার সময় করমজল খাল সাঁতরে পার হচ্ছিলেন সুব্রত। সেই মুহূর্তে একটি হিংস্র কুমির হঠাৎ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং কামড়ে ধরে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। সঙ্গে থাকা অন্য জেলেরা—সোহেল বিশ্বাস, জুয়েল সরদার, জয় সরকার ও স্বপন বিশ্বাস—সুব্রতকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

খবর পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা এবং সুব্রতের পরিবার ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা যৌথভাবে তল্লাশি শুরু করে। সন্ধ্যার আগে ইস্রাফিল বয়াতি নামের এক গ্রামবাসী জানান, তারা কুমিরের মুখে সুব্রতের নিথর দেহ দেখতে পান। তবে কুমিরটি এখনো তার দেহটি পুরোপুরি খায়নি, বরং মুখে করে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

জেলে ইস্রাফিল বলেন, “আমরা আলোর ব্যবস্থা করছি কারণ রাত নেমে এসেছে। পানি নামলে, ভাটার সময় খালে নেমে তল্লাশি জোরদার করবো।”

তিনি আরও জানান, “সুব্রতের পরিবার খুবই দরিদ্র। আমরা দাবি জানাই, যেহেতু সে বৈধভাবে পাস নিয়ে বনে গিয়েছিলো, তাই যেন সরকার ও বনবিভাগ থেকে আর্থিক অনুদান পায় তার পরিবার।”

এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “পাসধারী জেলেরা বনে গিয়ে বাঘ বা কুমিরের আক্রমণে প্রাণ হারালে সরকারীভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। পাস ছাড়া গেলে সেই সুবিধা প্রযোজ্য হয় না। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”এ ঘটনায় সুব্রতর পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

সুন্দরবনের করমজল এলাকায় প্রায়ই কুমিরের আক্রমণের ঘটনা ঘটে। বন ও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে জেলেদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ।


এই বিভাগের আরো খবর