সর্বশেষ :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৩ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মামলা প্রত্যাহার না করায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টারঃবিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধি: / ১১০ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটে মামলা প্রত্যাহার না করায় কাকড়া হ্যাছারী মালিককে বেধে রেখে ঘর
জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্ত ভোগী বেল্লাল মোল্লা।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাট করেন ভুক্ত ভোগী বেল্লাল।
লিখিত অভিযোগে বেল্লাল বলেন, সি.আর-১৯৫/২৫, জি.আর-১০৩/২৫ , পি- ৬৮/২৫ এই
মামলা প্রত্যাহরের জন্য বার বার হুমকি দেয়। আমি মামলা প্রত্যাহার না করায়
আমার কাকড়া হ্যাছারী ঘর সহ আমাকে বেধে আগুনে জ্বালিয়ে দেয় আয়শা বেগম,,
মোহাম্মদ আলী শেখ, শফিক শেখ, বাদশা শেখ, রাজা শেখ, ওসমান শেখ, মারুফ শেখ,
জোবায়ের শেখ  এরা আমার শশুর বাড়ীর আত্মীয় স্বজন। আয়শা বেগম আমার বিবাহীত
স্ত্রী কিন্তু বিবাহের পর থেকে আমরা সুখে শান্তিতে ঘর সংসার শুরু করি।
এরই ধারাবাহিকতায় আমার ঔরষে আয়শার গর্ভে ২ টি সন্তান জন্ম গ্রহন করিয়া
জীবিত আছে। এদের নাম হইতেছে ইয়াসমিন আক্তার মিম (১৪), ফাহিম মোল্লা (৮)
বছর। উল্লেখ্য যে আয়শার আপন ফুফাতো ভাই শফিক শেখরে সাথে অবৈধ্য সম্পর্ক
রয়েছে। আমি এই সম্পর্ক নিয়া বাধা দিলে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। আমার
শশুরকে এ বিষয় জানালে এবিষয়ে কোন কর্ণপাত না করিয়া আমাকে আরো জোর পূর্বক
বিভিন্ন ব্যপারে হয়রানি করে। এছাড়া আমার শশুর তার আত্মীয় স্বজনরা একটি
সালিশ বিচারে এর মাধ্যমে আমার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে পূনরায় জীবন যাপন
করি। গত ১৬ফেব্রুয়ারী আমার স্ত্রীকে শফিক শেখ ফুসলাইয়া ঘরে রাখা ২লক্ষ
টাকা নিয়ে গেলে আমি বাদি হয়ে আদালতে সি.আর- ৬৯/২৫ মামলা দায়ের করি। ঐ
মামলায় আসামীদের নামে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। উল্লেখ্য যে ঐ
মামলায় আমার স্ত্রী ১৭ দিন জেল হাজতে থাকর পর আমার জিম্মায় মিমাংসা
সুত্রে আমার স্ত্রীকে জামিন দেয় ব্দালত। অপর আসামী শফিক শেখ ১২ দিন পর
জামিনে মুক্ত হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে মিট মিমাংসা হয়। আমার স্ত্রী আমার
ঘর সংসার করিবে বলিয়া অঙ্গিকার নামা দেয় ও ঐ অঙ্গিকার নামায় আমার স্ত্রী
ও তাহার পিতা মাতা স্বাক্ষর করেন। গত ২৪ এপ্রিল আমাকে ইতিপূর্বে মারপিট
করার জন্য আদালতে বিচারধীন পি- ৩২/২৫ মামলা গত ২৭এপ্রিল তুলিয়ানি। আমার
ভাঙ্গনপাড় বাজারে মুদি দোকান আছে। আমি যখন দোকানে যাই এই সুযোগে আমার
মেয়েটিকে তার নানা বাড়ী পাঠিয়ে দিয়ে এই সুযোগে গত ১২মে ভোরে আমার স্ত্রী
ও শফিক শেখ অবৈধ্য মেলামেশা করার উদ্দেশ্য আমার বাড়ী থেকে ফুসলাইয়া মটর
সাইকেল যোগে আমার স্ত্রীকে নিয়ে চলিয়া যায়। যাওয়ার সময় আমার ঘেরের মাছ
বিক্রয় করা ২লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়া চলিয়া যায় এবং সম্পূর্ন টাকা তাহার
আত্বসাৎ করে। এছাড়া আমার স্ত্রীকে নিয়া শফিক শেখ আত্বগোপন করিয়া অবৈধ্য
ভাবে মেলামেশা ও অবাধ চলাফেরা করিয়া আসিতেছে।
তিনি আরো বলেন, আমি অনেক খোজাখুজির এক পর্যায় আমার স্ত্রী ও শফিক শেখ কে
ফয়লা বাজারে দেখতে পাই তখন আমার ছেলে ফাইম মোল্লা আমার সাথে ছিল। আমার
ছেলে তার মাকে দেখার পর মায়ের জন্য কান্না কাটি করিতে থাকিলে আমার স্ত্রী
বলে শফিক শেখ কে ২০ হাজার টাকা দেও তাহলে শফিক আমাকে তোমার কাছে ফেরত
দিবে। আমি আমার নাবালক ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে তৎ¶নাৎ ২০ হাজার টাকা
আমার স্ত্রী ও শফিক শেখ কে প্রদান করি। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী ফোন বন্ধ
করিয়া রাখে। এর ই একদিন পর ১৫মে বিকালে ফোন খুলিয়া পুনরায় আমার নিকট শফিক
শেখ ১লক্ষ টাকা দাবী করে এবং বলে না দিলে সে অমার স্ত্রীকে ফেরত দিবেনা।
আমি উক্ত টাকা দেওয়ার অপরাগতা প্রকাশ করিলে আমার স্ত্রী ও শফিক শেখ আমাকে
হুমকি দিয়ে বলে যে তুই যদি আইনগত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করিশ ও উদ্ধারের
চেষ্টা করিশ তাহলে তোকে ও তোর সন্তানদের মারিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিব।
এছাড়া শশুর বাড়ীর কাছে আমার মৎস্য ঘের আমি আমার ঘেরে আসামীদের ভয়ে যেতে
পারতেছি না। এছাড়া আমার স্ত্রী পূর্বে থেকেই চরিত্রহীনা আমার কাছে অনেক
প্রমান আছে এবং হাতে নাতে বহুবার আমার কাছে ধরা পড়েছে এই অপকর্মের ভিডিও
আমার কাছে আছে। রামপাল থানা ও পুলিশ হাতে নাতে বহুবার ধরা পড়েছে। কিন্তু
সকল অপরাধ আমি মুখ বুঝিয়া সহ্য করিয়াছি আমার সন্তানদের দিকে তাকিয়ে।
সর্বশেষ আমার কাকড়া ঘেরে আমি গেলে আমার স্ত্রী ও শফিক শেখ, রাজা শেখ,
মোহাম্মদ মারুফ শেখ, জোবায়ের শেখ, ওসমান শেখ, নাইমুল শেখ আরো অজ্ঞাত নামা
৪/৫ জন। ও আমার শশুর বাড়ীর আত্মীয় সজন আমাকে বেধে রেখে আমাকে সহ আমার
কাকড়া ঘেরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমার মোবাইল এবং আমার নিকট থাকা ৭০
হাজার টাকা ও আমার মামলার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র কেড়ে নিয়েছে। আমি অতি
কষ্টে উপর আল্লাহর রহমাতে জানে বেচে আছি। কিন্তু আমার শরিরের বহু জায়গায়
ও আমার কানপিটে কোপমারে ও আমার ডান পায়ে হাড় কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
এছাড়া আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চাইনিজ কুড়ালের কোপ আছে। আগুনের শিখা
লেগে আমার মাথা সহ শরীলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন আছে এবং আমার
চিকিৎসার করার জন্য স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করিয়া রামপাল স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। পরবর্তীতে আমার শরিরের অবস্থা অবনতি দেখে রামপাল
হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে রিফার্ট
করে সেই থেকে আমি ৬ দিন বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছি।


এই বিভাগের আরো খবর