দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ তুলেছেন ভিপি পদে পরাজিত প্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) এসব প্রশ্নে গড়িমসি করছে এবং সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দিচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিন ভিপি প্রার্থী—আবিদুল ইসলাম খান, আব্দুল কাদের ও উমামা ফাতেমা—এই অভিযোগ উত্থাপন করেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে বেশিরভাগ পদে জয়ী হয় ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। তবে বিভিন্ন প্যানেলের পরাজিত প্রার্থীরা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, “নির্বাচনের দুই দিন আগে ৭ সেপ্টেম্বর গাউসুল আজম মার্কেটে অরক্ষিত অবস্থায় ডাকসুর ব্যালট পেপার পাওয়া যায়। আমরা এর ব্যাখ্যা চাইলে প্রশাসন স্পষ্ট কোনো উত্তর দেয়নি। নির্বাচনে যে ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয়েছে, তা বাস্তবে মিলেনি। আমরা ভোটারের স্বাক্ষর তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছি।”
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, “আমরা নির্বাচিতদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। আমাদের কনসার্ন নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম। সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অস্বাভাবিক ভোট টার্নআউট দেখানো হয়েছে। অথচ প্রশাসন বলছে এসব তথ্য দেওয়ার সুযোগ নেই।”
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। গাউসুল আজম মার্কেটে পাওয়া ব্যালট পেপার কে ছাপিয়েছে, তা প্রশাসন তদন্ত করে জানাচ্ছে না। ভোট কাস্টিং তালিকাও প্রকাশ করা হচ্ছে না, যা আমাদের সন্দেহ বাড়াচ্ছে।”
তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল মনোনীত জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম, স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী আরাফাত চৌধুরী এবং ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী শেখ তানভীর আল হাদী মায়েদসহ আরও কয়েকজন।
অভিযোগগুলোর বিষয়ে উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আর প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।