জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি-ওর্ন ক্যামেরা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের বডি ক্যামেরা দেওয়া হবে। এ প্রস্তাব বৈঠকে অনুমোদনও পেয়েছে। ব্যয়ের নির্দিষ্ট অঙ্ক এখনো নির্ধারণ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েকশ কোটি টাকা খরচ হবে। পুরো অর্থ নির্বাচনের বাজেট থেকেই বহন করবে অর্থ মন্ত্রণালয়।
ড. সালেহউদ্দিন জানান, ক্যামেরাগুলো ইউএনডিপির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। তার ভাষায়, “টেন্ডার প্রক্রিয়ায় মান ও দামের বিষয়ে সন্দেহ থাকে। ইউএনডিপির মাধ্যমে আনলে মান, দাম ও দ্রুত বিতরণ নিশ্চিত করা যাবে। কারও সঙ্গে দর-কষাকষির ঝামেলাও থাকবে না।” তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ইপিআই টিকা যেমন ইউনিসেফের মাধ্যমে আনা হয়, তেমনি এ প্রক্রিয়াও ইউএনডিপি দেখভাল করবে।
বাংলাদেশে প্রথম বডি ক্যামেরা ব্যবহার শুরু হয় ২০১৪ সালে। তখন ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশকে এই প্রযুক্তি দেওয়া হয়। পরে ধাপে ধাপে অন্যান্য জেলায়ও এটি ব্যবহার শুরু হয়। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা পোশাকের বুকের অংশে বা কপালে ক্যামেরাটি লাগান। চেকপোস্টে তল্লাশি, অভিযান বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সময় এসব ক্যামেরা কার্যকর থাকে। পুলিশ সদর দপ্তরের মনিটরিং সেল থেকে এসব সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এছাড়া একই বৈঠকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের সংস্কার ও উন্নয়ন বিষয়ক দুটি প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে উন্নীত করে গ্রেড-টুতে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার আধুনিকায়নেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।