সর্বশেষ :
পাইকগাছায় আমন ধানের ফলন ভাল হলেও ধানের মূল্য কম হওয়ায় কৃষক হতাশ ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ভাংচুর করে নথিতে আগুন দিলো বিক্ষুদ্ধ জনতা হাদি হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার শাহবাগ অবরোধ চট্টগ্রামে রাতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আটক ৮ ছায়ানটের ভেতরে পোড়া বই আর ভাঙা বাদ্যযন্ত্র, বাইরে কড়া পুলিশ পাহারা আজ সন্ধ্যায় দেশে আসবে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ, জানাজা শনিবার জব্দ রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা লুকানো কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছে ইউক্রেন ইউক্রেনকে ঋণ দিতে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠক
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

গভর্নরের সঞ্চয়পত্র ও বেসরকারি বন্ডের জন্য আলাদা বাজার তৈরির পরামর্শ

প্রতিনিধি: / ৭৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশের আর্থিক কাঠামোকে আরও গতিশীল করতে সঞ্চয়পত্র ও বেসরকারি বন্ডের জন্য আলাদা লেনদেন বাজার তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তাঁর মতে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে খুব অল্প সময়েই এ ধরনের বাজার গড়ে তোলা সম্ভব, যা গ্রাহকদের উপকারের পাশাপাশি দেশের আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করবে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বন্ড ও সুকুক মার্কেটের সম্ভাবনা নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে গভর্নর এ প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্র বর্তমানে আংশিকভাবে বাজারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এটিকে পুরোপুরি লেনদেনযোগ্য করা উচিত। এতে একটি শক্তিশালী সেকেন্ডারি মার্কেট তৈরি হবে এবং বাজারে তারল্য বাড়বে। একইভাবে বেসরকারি বন্ডকে লেনদেনযোগ্য করারও জোর পরামর্শ দেন তিনি।

গভর্নর জানান, সঠিক কাঠামো গড়ে তুলতে পারলে রাতারাতি বন্ড মার্কেট দ্বিগুণ হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের উৎস হিসেবে সরকারি ও করপোরেট পেনশন ব্যবস্থা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বেনেভোলেন্ট ফান্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জন্য একটি কার্যকর পেনশন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন অপরিহার্য বলে তিনি মত দেন।

বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা তুলে ধরে আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থিক কাঠামো মূলত বন্ডনির্ভর, যেখানে প্রায় ১৩০ ট্রিলিয়ন ডলারের বন্ড ইস্যু রয়েছে। অথচ বাংলাদেশে ব্যাংকনির্ভর অর্থনীতি বিদ্যমান। এখানে স্টক মার্কেটের পরিমাণও সীমিত এবং বিমা খাত জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ, যা ‘গণনায় ধরার মতোও নয়’।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল। রাজনৈতিক প্রভাব বা ঋণ পরিশোধে শিথিলতার সুযোগ থাকায় তারা বন্ড ইস্যুতে আগ্রহী নয়। অথচ অধিকাংশ দেশে বন্ড মার্কেট চাহিদা ও সরবরাহ—দুটো দিকেই বিস্তৃত।

সুকুক বা ইসলামি বন্ড বাজারের সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেন গভর্নর। এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়টি সুকুক ইস্যু হয়েছে, যার পরিমাণ ২৪ হাজার কোটি টাকা। তিনি প্রস্তাব দেন, যমুনা বা পদ্মা সেতু থেকে আদায় হওয়া টোল, কিংবা মেট্রোরেল ও অন্যান্য অবকাঠামো প্রকল্পের আয়কে সিকিউরিটাইজ করে নতুন প্রকল্পে অর্থ জোগাড় করা সম্ভব। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিশেষ কার্যকরী বিভাগ থাকা দরকার বলেও মত দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী বক্তব্যে গভর্নর জানান, বন্ড মার্কেট উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যা শিগগিরই সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে


এই বিভাগের আরো খবর