সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

জাপানে আগস্টে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস, চালের দাম কিছুটা কমেছে

প্রতিনিধি: / ৫৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বিদেশ : সরকারি জ্বালানি ভর্তুকির কারণে জাপানে আগস্টে মুদ্রাস্ফীতি কমে ২.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে,  শুক্রবার সরকারি পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়। এক বিশাল মূল্যবৃদ্ধির পর চালের দামও কিছুটা কমেছে। টোকিও থেকে এএফপি জানায়, জাপানে মুদ্রাস্ফীতি চালের দামের উপর নির্ভরশীল। আগস্টে চালের দাম আগের বছরের তুলনায় ৬৮.৮ শতাংশ বেড়েছে। যদিও এটি জুনে প্রায় ১০০ শতাংশ এবং জুলাই মাসে ৯০.৭ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল। চালের দাম বৃদ্ধির কারণে ক্ষুব্ধ ভোটাররা ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এর ফলে চাপে থাকা প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এ মাসে ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি পদত্যাগ করবেন, কারণ তার জোট পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। ২০২৩ সালের প্রচণ্ড গরমের কারণে সরবরাহ ব্যাহত হওয়া এবং গত বছর এক ‘মেগা ভূমিকম্প’ সতর্কতার কারণে চালের দাম আকাশচুম্বী হয়। কারণ আতঙ্কে লোকজন ও অসাধু ব্যবসায়ীরা চাল মজুত করে রাখে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পচনশীল খাদ্যের দাম বাদ দিয়ে একটি কোর ইনফ্লেশন রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই রিপোর্টে উঠে আসা মুদ্রাস্ফীতি বাজারের প্রত্যাশার সঙ্গে মিলে গেছে এবং মুদ্রাস্ফীতি জুলাইয়ের ৩.১ শতাংশ থেকে কমেছে। ক্যাপিটাল ইকোনমিঙ্রে অভিজিৎ সূর্য বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমার প্রধান কারণ হলো ‘বিদ্যুৎ ও গ্যাস ভর্তুকি পুনরায় চালুর ফলে জ্বালানি দামের পতন।’ তবে ব্লুমবার্গ ইকোনমিঙ্রে বিশ্লেষক তারো কিমুরা বলেন, মুদ্রাস্ফীতির এই ধাক্কা পুরো চিত্র বদলাবে না। তিনি জানান, ভোক্তা মূল্য এখনও যথেষ্ট উচ্চ থাকবে। এ কারণে ব্যাংক অব জাপান সম্ভবত অক্টোবরেই প্রণোদনা কমানো শুরু করবে। ইশিবা নতুন একজন কৃষিমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন এবং তার সরকার চালের দাম কমানোর জন্য জরুরি মজুদ থেকেও চাল বাজারে ছেড়েছে। জাপান গত কয়েক দশক ধরে ধান ছাড়া অন্য ফসল ফলাতে কৃষকদের উৎসাহিত করে আসছে। তবে গত মাসে সরকার এই নীতি পরিবর্তন করার ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও চান জাপান আরও বেশি আমেরিকান চাল আমদানি করুক। গত মাসে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে জাপানের অর্থনীতি বার্ষিক ১.০ শতাংশ হারে বেড়েছে। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, মার্কিন শুল্কের কারণে অর্থনীতি যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, বাস্তবে তা ততটা হয়নি। তবে এ সপ্তাহে প্রকাশিত অন্য তথ্য বলছে, আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে জাপানের রপ্তানি প্রায় ১৪ শতাংশ কমেছে, যার মধ্যে গাড়ি রপ্তানি কমেছে ২৮.৪ শতাংশ। জাপান যুক্তরাষ্ট্রে যা রপ্তানি করে তার এক তৃতীয়াংশ জুড়ে আছে গাড়ি শিল্প, যা ২৭.৫ শতাংশ মার্কিন শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র জাপানি গাড়ির উপর শুল্ক কমিয়েছে করেছে, কারণ সমপ্রতি দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হয়েছে। অন্যান্য অনেক পণ্যের মতোই এখন থেকে গাড়ির উপরও ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। চুক্তি বাস্তবায়ন জাপানের জন্য ইতিবাচক হলেও এই শুল্ক এখনো দেশের শিল্পখাতকে বড় ধরনের ক্ষতি করছে। জাপানি ব্যবসায়িক লবিরা আশা করছেন যে টোকিও নতুন করে আলোচনার জন্য চাপ দেবে। জাপানের গাড়ি শিল্পে টয়োটা ও হোন্ডার মতো বড় কোম্পানিগুলো দেশের প্রায় আট শতাংশ কর্মসংস্থানের সঙ্গে জড়িত।


এই বিভাগের আরো খবর