সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

গ্রিনল্যান্ড সফরে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধি: / ৬৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বিদেশ : ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিশ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রতি তার দেশের ‘সংহতি’ প্রকাশ করতে গ্রিনল্যান্ডে পৌঁছেছেন। দেশটির মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন, তিনি চান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপটি দখল করুক। কোপেনহেগেন থেকে এএফপি এ খবর জানায়। ড্যানিশ পাবলিক টেলিভিশনে প্রকাশিত খবরের ক’দিন পর জিন-নোয়েল ব্যারোট দুই দিনের সফরে গিয়েছেন। ওই খবরে বলা হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ অন্তত তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা গ্রিনল্যান্ডে আছেন এবং তারা ডেনমার্ক-বিরোধী প্রভাব বিস্তারের প্রচারণায় ব্যবহার করা যেতে পারে এমন ব্যক্তিদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। গ্রিনল্যান্ড এবং ডেনমার্কের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী বিষয়গুলোর তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে হস্তক্ষেপ অভিযানের প্রতিবেদন প্রকাশের পর, বুধবার ডেনমার্ক মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্যারোটের এই সফর ‘বর্তমান চ্যালেঞ্জের মুখে ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ড ও গ্রিনল্যান্ডের জনগণের সঙ্গে ফ্রান্সের সংহতি প্রদর্শন করবে।’ গত শনিবার গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুউক বন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ফরাসি নৌযান, বিএসএএম গ্যারোন (ফরাসি নৌবাহিনীর লোয়ার-শ্রেণীর মেট্রোপলিটন অফশোর সাপোর্ট এবং সহায়তা জাহাজ) পরিদর্শন করেন। ব্যারোট বলেন ‘এই অঞ্চলগুলো অবশ্যই প্রত্যন্ত, কিন্তু তারা এখন এক ধরণের সংঘাত, এক নতুন ধরণের আগ্রাসন দ্বারা প্রভাবিত, যে কারণে একটি প্রধান সামুদ্রিক শক্তি ফ্রান্স আজ সেখানে উপস্থিত। তিনি গতকাল রোববার গ্রিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান মোটজফেল্ড এবং গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেনস-ফ্রেডেরিক নিয়েলসেনের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন এবং একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাখোঁ জুন মাসে গ্রিনল্যান্ড সফর করেন, সেখানকার জনগণের সঙ্গে ইউরোপীয় সংহতি প্রকাশ করেন এবং আর্কটিক দ্বীপকে সংযুক্ত করার ট্রাম্পের হুমকির সমালোচনা করেন। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প বারবার বলেছেন যে নিরাপত্তার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগতভাবে অবস্থিত, সম্পদ সমৃদ্ধ গ্রিনল্যান্ডের প্রয়োজন এবং এটি সুরক্ষিত করার জন্য শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে অস্বীকার করেন। ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ড উভয়ই জোর দিয়ে বলেছে যে দ্বীপটি বিক্রির জন্য নয় এবং তারা নিজেরাই এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। জানুয়ারিতে করা এক জরিপ অনুসারে, গ্রিনল্যান্ডের ৫৭ হাজার মানুষের বেশিরভাগই ডেনমার্ক থেকে স্বাধীন হতে চায়, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চায় না।


এই বিভাগের আরো খবর