বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

প্রতিনিধি: / ৪৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারী ব্যক্তিদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাইয়ে সরকার যে কমিটি গঠন করেছে, সেটিকে ‘অনুপযুক্ত’ আখ্যা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, বর্তমান কমিটি পরিবর্তন করে নতুনভাবে গঠন না করা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সভাপতি মো. ওয়ালী উল্লাহ বলেন, “সরকার যে কমিটি করেছে, সেখানে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) প্রেসিডেন্টকে রাখা হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের দাবি—এই কমিটি পরিবর্তন করে নতুনভাবে গঠন করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বরত ডিসিকে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টাকে শিক্ষার্থীদের কাছে এসে বক্তব্য রাখতে হবে।”

আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিবুল হক লিপু জানান, পুলিশের হামলায় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “যেসব পুলিশ সদস্য আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে, তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে আন্দোলন চলবে।”

এর আগে সকালে বুয়েট থেকে শুরু করে শাহবাগ হয়ে সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা। সেখানে স্লোগান দিয়ে বেলা দেড়টার দিকে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশ বাধা দেয়।

এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে এবং লাঠিচার্জ করে। পাশাপাশি অন্তত ৮ থেকে ১০টি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনেই অবস্থান নেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে যে কমিটি গঠন করেছে, তার সভাপতি করা হয়েছে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. কবির হোসেন, প্রকৌশলী তানভির মঞ্জুর এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক।

কমিটির দায়িত্ব, বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারী প্রকৌশলীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাই করে এক মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা।

প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দাবি আদায়ে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) তারা শাহবাগ অবরোধ করেন। কিন্তু সমাধান না মেলায় বুধবার থেকে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি শুরু করেন তারা, যার ধারাবাহিকতায় সংঘর্ষ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।


এই বিভাগের আরো খবর