শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

কয়লা চুক্তি না থাকায় পূর্ণ উৎপাদনে অনিশ্চয়তা আরএনপিএল বিদ্যুৎকেন্দ্রে

প্রতিনিধি: / ৫২ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর তীরে গড়ে ওঠা দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র আরএনপিএল জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে। তবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার এ কেন্দ্র এখনো পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হতে পারেনি। দীর্ঘমেয়াদি কয়লা সরবরাহ চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় বর্তমানে কেবল একটি ইউনিট চালু রয়েছে।

চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হয়। পরে ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় ইউনিটও সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু এখন উৎপাদন সীমিত হয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩০০ মেগাওয়াটে।

এর মধ্যে কয়লা আমদানি নিশ্চিত করতে চার দফা আন্তর্জাতিক টেন্ডার ডাকা হয়। সর্বশেষ সিঙ্গাপুরভিত্তিক এক প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব ব্যয়বহুল হওয়ায় তা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ বিভাগ আবারও নতুন করে দরপত্র আহ্বান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরএনপিএল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আশ্রাফ উদ্দিন জানিয়েছেন, বর্তমানে দেড় লাখ মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। এছাড়া নতুন জাহাজে আরও কয়লা আসছে। এতে আপাতত উৎপাদন সচল রাখা সম্ভব হলেও পূর্ণ সক্ষমতায় চালুর নিশ্চয়তা নেই।

প্রায় ২ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই কেন্দ্রের বড় অংশের অর্থায়ন করেছে চীন। এর মধ্যে দেশটি ঋণ দিয়েছে প্রায় ১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক উৎপাদন না হওয়ায় এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরএনপিএল পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি কমবে। একই সঙ্গে ব্যয়বহুল তেলভিত্তিক উৎপাদনের ওপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে এবং আমদানি ব্যয়ও কমবে। বর্তমানে গ্রিডভিত্তিক মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৮ হাজার ১০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে পাওয়া যায় ৭ হাজার মেগাওয়াট। আরএনপিএল পূর্ণ উৎপাদনে গেলে এ খাতে বড় ধরনের সহায়তা করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ৯৫০ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তরে অবস্থান করা এ কেন্দ্র জাতীয় বিদ্যুৎ খাতে নতুন প্রত্যাশা তৈরি করলেও কয়লার দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় পূর্ণ উৎপাদন নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে।


এই বিভাগের আরো খবর