বিদেশ : মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন নিয়ে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির জান্তা সরকার। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি বলা হয়, আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। জান্তা সমর্থিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের ৩৩০টি প্রশাসনিক এলাকার প্রায় এক তৃতীয়াংশে প্রথম পর্যায়ের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সব মিলিয়ে ১০২টি প্রশাসনিক এলাকায় প্রথম পর্যায়ের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে পুরো নির্বাচনের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়নি। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির দলের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে শাসন ক্ষমতা দখল করেছিল সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই বন্দি আছেন সু চি। দেশে সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘ প্রায় চার বছর পর চলতি বছর ১৮ আগস্ট সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে মিয়ানমার নির্বাচন কমিশন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকেই দেশব্যাপী বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে আছে জান্তা সরকার। শাসন ক্ষমতায় থাকলেও দেশের বিশাল এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অবশ্য জান্তা সরকারের অধীন নির্বাচনের আশ্বাসকে প্রতারণামূলক বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ বলেন, চলমান সামরিক শাসন আড়াল করতে এই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম দফায় যেসব এলাকায় ভোট হবে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বিস্তৃত ও কম জনবসতিপূর্ণ রাজধানী নেপিডোর সবগুলো এবং বাণিজ্যিক রাজধানী ও বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের প্রায় একুচতুর্থাংশ প্রশাসনিক এলাকা। এই অঞ্চলে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। যেসব এলাকায় জান্তার সঙ্গে বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াই চলছে, সেসব এলাকায় ভোট আয়োজনের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে বিবৃতিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। যেমন পশ্চিমের রাজ্য রাখাইনে ১৭টির মধ্যে মাত্র তিনটি প্রশাসনিক এলাকায় প্রথম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই রাজ্যের প্রায় পুরোটা স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) দখলে রয়েছে। মিয়ানমারে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২০ সালে। সেবারের নির্বাচনে সু চির দল বড় জয় পেয়েছিল। পরে ভোট জালিয়াতির ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।