বিদেশ : ইরান জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে এবং আগামী দিনে উভয়পক্ষের মধ্যে সম্ভবত আরও এক দফা আলোচনা হবে। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এ কথা জানিয়েছেন। যদিও আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসির মতে, পরিদর্শন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রয়েছে। তবুও সংস্থার পরিদর্শকরা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। জুন মাসে ইসরায়েল ইরানের মাটিতে বিমান হামলা চালিয়ে আগ্রাসন শুরু করে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও তাদের বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়। মূলত এরপর থেকে ইরান আইএইএ’র পরিদর্শকদের সেখানে যেতে দিচ্ছে না। বিশ্লেষকরা মনে করে, ইরানে হামলা চালানোর পেছনে আইএইএ’র উস্কানিমূলক প্রতিবেদনও দায়ী। বাঘাই বলেন, গত সপ্তাহে (আইএইএ’র সঙ্গে) আমাদের আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং আগামী দিনে সম্ভবত ইরান ও সংস্থার মধ্যে আরও এক দফা আলোচনা হবে। টেলিভিশনে প্রচারিত সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্কের স্তরে পরিবর্তন এসেছে, আমরা তা অস্বীকার করছি না। তবে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। ৩১ মে তারিখে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে আইএইএ ইসরায়েল-মার্কিন হামলার জন্য কার্যকরভাবে পথ তৈরি করে দেয়। প্রতিবেদনে আইএইএ ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু বিস্তার রোধের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র দীর্ঘদিন ধরেই পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা বিকাশ নিয়ে পশ্চিমাদের সন্দেহ অস্বীকার করে আসছে। তারা অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে। গত মাসে ইরান আইএইএ’র সাথে সহযোগিতা স্থগিত করে সংসদে একটি আইন পাস করে। আইনটিতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর যে কোনো পরিদর্শনের জন্য তেহরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।