সর্বশেষ :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

আসামে নতুন লাইসেন্স নীতির অনুমোদন বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন ভারতীয়রা

প্রতিনিধি: / ৮০ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত আদিবাসীরা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার জন্য লাইসেন্স আবেদন করতে পারবেন। আসামের ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার এ সংক্রান্ত নীতির অনুমোদন দিয়েছে। নতুন এই উদ্যোগ মূলত ‘অরক্ষিত বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে’ বসবাসরত নাগরিকদের আত্মরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে। এনডিটিভির খবর। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, আসাম সরকার বৃহস্পতিবার অস্ত্র লাইসেন্সের জন্য একটি ডিজিটাল পোর্টালও চালু করেছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে অস্ত্র লাইসেন্স সহজভাবে পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কারা আবেদন করতে পারবেন এবং কীভাবে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তার বিস্তারিতও নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাজ্যের সংখ্যালঘু প্রধান ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ‘অরক্ষিত ও প্রত্যন্ত’ এলাকাগুলোতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য এই লাইসেন্স দেওয়া হবে। মন্ত্রিসভা গত মে মাসে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এ উদ্যোগটি কার্যকর করা হলো। আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি আমি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে থাকি অথবা দুই রাজ্যে সীমানাবর্তী এলাকায় বসবাস করি অথবা এমন এক অরক্ষিত ও সংবেদনশীল এলাকায় থাকি, যেখানে আমার সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা কম তাহলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যদি এমন পরিস্থিতি হয় তাহলে ছোট ছোট ঘটনা উত্তেজেনার আবহ তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাতে পারে। পুড়িয়ে দিতে পারে ঘরবাড়ি। নানা কিছু ঘটতে পারে। একটি থানায় খুবই কম সংখ্যক পুলিশ থাকে। কোনো ঘটনা মোকাবিলায় জেলা থেকে টিম যেতেও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। আর ওই সময়ের মধ্যে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। তাই পুলিশ যতক্ষণ না আসছে নিজেদের সুরক্ষা করা প্রয়োজন। আর তাই এই ব্যবস্থা চালু করা হলো। এদিকে অস্ত্রের লাইসেন্স কারা পাবেন এ বিষয়ে রাজ্যটির সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের বয়স অন্তত ২১ বছর হতে হবে। ‘অরক্ষিত, সংবেদনশীল ও প্রত্যন্ত’ অঞ্চলের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা অপরাধের রেকর্ড আছে কি না, তা দেখা হবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই ‘শারীরিক এবং মানসিকভাবে’ সুস্থ হতে হবে। এছাড়াও, ২০১৬ সালের অস্ত্র আইন অনুযায়ী আবেদনকারীদের প্রশিক্ষণের সনদ থাকতে হবে। তবে, এর আগে গত মে মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বাসিন্দারা নিজেদের জমিতেই ‘বাংলাদেশিদের’ আক্রমণ ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন আক্রমণ থেকে ভারতীয়রা যাতে নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারেন, তার জন্যই এই বিশেষ অস্ত্র প্রকল্পটি চালু করা হবে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া জেলাগুলোতে এই নতুন নীতি প্রযোজ্য হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটি একটি ধর্মীয়-নিরপেক্ষ উদ্দেশ্য যা আদিবাসী বাসিন্দা, আদিবাসী এবং কমপক্ষে তিন প্রজন্ম ধরে ভারতে বসবাসকারী মানুষকে সাহায্য করবে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছোট ছোট ঘটনা দ্রুত উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাতে পারে। তিনি বলেন, একটি থানায় খুবই কম পুলিশ থাকে। কোনো ঘটনা মোকাবিলায় জেলা থেকে টিম যেতেও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। সেই সময়ের মধ্যে অনেক কিছু ঘটতে পারে। তাই পুলিশ না আসা পর্যন্ত নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ কারণেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, নতুন অস্ত্র লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীদের বয়স অন্তত ২১ বছর হতে হবে এবং ‘অরক্ষিত, সংবেদনশীল ও প্রত্যন্ত’ অঞ্চলের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা অপরাধের রেকর্ড থাকা যাবে না। এছাড়া, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে এবং ২০১৬ সালের অস্ত্র আইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণের সনদ থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার মে মাসের বৈঠকের পরে দেখা গেছে, কিছু এলাকায় বাসিন্দারা নিজেদের জমিতেই বাংলাদেশি নাগরিকদের হুমকি বা আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছেন। এই নতুন অস্ত্র প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, ভারতীয়রা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হোক। তিনি স্পষ্ট করেছেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে এই নীতি কার্যকর হবে। তবে বৃহস্পতিবার তিনি জানান, এটি একটি ধর্মীয়-নিরপেক্ষ উদ্যোগ যা আদিবাসী ও তিন প্রজন্ম ধরে ভারতে বসবাসকারী সকল মানুষকে সাহায্য


এই বিভাগের আরো খবর