সর্বশেষ :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

কলেরার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবে সুদানে ৪০ জনের মৃত্যু

প্রতিনিধি: / ১৪২ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

বিদেশ : সুদানের দারফুর অঞ্চলে কলেরায় কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানায়, এটি সুদানের কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর সংঘাতে বিপর্যস্ত দারফুর। এখন এটি এই প্রাদুর্ভাবের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এক বিবৃতিতে এই গ্রুপটি বলেছে, ‘একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের পাশাপাশি, সুদানের মানুষ এখন সবচেয়ে খারাপ কলেরা প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। শুধুমাত্র দারফুর অঞ্চলে গত সপ্তাহে ২ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং ৪০ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।’ দেশব্যাপী স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ৯৯ হাজার ৭০০ সন্দেহভাজন রোগী এবং কলেরার সঙ্গে সম্পর্কিত ২ হাজার ৪৭০ জন মৃত্যুর খবর দিয়েছে। দূষিত খাবার এবং পানির মাধ্যমে সংক্রামিত এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ গুরুতর ডায়রিয়া, বমি এবং পেশীতে খিঁচুনি সৃষ্টি করতে পারে। চিকিৎসা ছাড়া কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যেতে পারে মানুষ। গত বুধবার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রাজধানী খার্তুমে ১০ দিনের টিকাদান অভিযান শুরু করেছেন। আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, যুদ্ধ, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি এবং টানা বৃষ্টিপাত কলেরার প্রাদুর্ভাবকে আরো দ্রুত ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমএসএফ জানিয়েছে, সংঘর্ষের কারণে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া লাখ লাখ মানুষ এখন পান ও রান্নার জন্য পরিষ্কার পানি পাচ্ছে না। উত্তর দারফুরের তাওইলায়ে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ এল-ফাশারের কাছে চলমান যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসেছে। বাসিন্দারা প্রতিদিন মাত্র ৩ লিটার (৩.২ কিউটন) পানি নিয়ে বেঁচে থাকে। যা প্রতি ব্যক্তির জন্য জরুরি ন্যূনতম ৭.৫ লিটার (৮ কিউটন) পানির অর্ধেকেরও কম। টাওইলায় এমএসএফের প্রকল্প সমন্বয়কারী সিলভাইন পেনিকড বলেন, ‘বাস্তুচ্যুতি এবং শরণার্থী শিবিরের পরিবারগুলোকে প্রায়ই দূষিত উৎস থেকে পান করতে হয়। অনেকেই কলেরায় আক্রান্ত হয়। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে একটি শিবিরের ভেতরে একটি কূপে একটি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। মৃতদেহটি সরিয়ে ফেলা হলেও দুই দিনের মধ্যে মানুষ আবার সেই একই পানি পান করতে বাধ্য হয়েছিল।’ মার্চ মাসে সেনাবাহিনী খার্তুম পুনরুদ্ধারের পর থেকে দারফুরে লড়াই তীব্রতর হয়েছে। আরএসএফ এই অঞ্চলের শেষ প্রধান শহর এল-ফাশার দখল করার চেষ্টা করছে, যা এখনও সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জাতিসংঘ এই শহরের ভিতরে আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্ণনা করেছে। এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পানির উৎস আরো দূষিত হয়েছে এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমএসএফ সতর্ক করেছে, যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা মানুষের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিবেশী চাদ এবং দক্ষিণ সুদানে ছড়িয়ে যাচ্ছে। সূত্র : আলজাজিরা


এই বিভাগের আরো খবর