রাশিয়ার অভ্যন্তরে একটি বড় তেল শোধনাগার, ড্রোন ঘাঁটি ও একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় হামলার দাবি করেছে ইউক্রেন। শনিবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মস্কো থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রিয়াজান অঞ্চলের একটি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলায় আগুন ধরে যায়। এ ছাড়া ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী ভোরোনেজ অঞ্চলের একটি তেলের গুদামেও হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ড্রোন ইউনিট ইউএসএফ বলেছে, তারা দূরপাল্লার ড্রোন দিয়ে এসব হামলা চালিয়েছে। তবে কী ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে তা জানানো হয়নি। এদিকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার ক্রাসনোদার অঞ্চলের প্রিমোরস্কো-আখতার্সক সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই ঘাঁটি থেকে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালানো হয়। এসবিইউ-এর মতে, পেনজা অঞ্চলের একটি ইলেকট্রনিক কারখানাতেও তারা ড্রোন হামলা চালিয়েছে। কারখানাটি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতে প্রযুক্তি সরবরাহ করে থাকে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গতকাল শনিবার রাতে তারা ৩৩৮টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে ইউক্রেন কতটি ড্রোন উড়িয়েছিল তা উল্লেখ করা হয়নি। অন্যদিকে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, তারা রাশিয়ার ছোড়া ৫৩টি ড্রোনের মধ্যে ৪৫টি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ডনেস্ক অঞ্চলের ওলেক্সান্দ্রো-কালিনোভে গ্রামটি তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রয়টার্স স্বাধীনভাবে এই যুদ্ধক্ষেত্রের তথ্য যাচাই করতে পারেনি। তবে বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।