পারিবারিক বিরোধের জেরধরে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এক যুবককে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত লিটন সিকদার লিটু (৪২) বরিশাল মহানগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধায় বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুরের বিল্লবাড়ি এলাকায়।
এসময় নিহতের ছোট ভাই ও বোনকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করা হয়। পাশাপাশি ঘরে হামলা-ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নিহত লিটন সিকদার লিটু ওই গ্রামের নজির সিকদারের ছেলে। গুরুত্বর আহত নিহতের ছোট ভাই সুমন সিকদার (৩৫) ও বোন মুন্নি বেগমকে (৩৮) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মুন্নি বেগম জানান, একই গ্রামের বাসিন্দা তার স্বামী জাকির হোসেন গাজী গোপনে আরেকটি বিয়ে করেছেন।
এ নিয়ে তাদের পারিবারিক বিরোধ হয়। সাম্প্রতি এ নিয়ে তিনি ও স্বামী পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। মামলার আসামি হিসেবে বৃহস্পতিবার আদালত থেকে জামিনের পর তারা পুলিশ নিয়ে বাড়িতে আসেন।
তখন পুলিশের সামনে বসে একদল লোক তাদের ওপর হামলা করে ঘরে ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। এছাড়াও তার ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যাসহ তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন হাসান বলেন, বহিস্কৃত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা লিটন ওরফে লিটু এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।
তার পূর্বে চারটি বিয়ে থাকলেও অতিসম্প্রতি আরো এক নারী বিয়ের দাবিতে লিটুদের বাড়িতে এসে তাকে (লিটু) না পেয়ে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, লিটু সিকদারের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট ছিলো। কয়েকদিন পূর্বে লিটু তার বোন জামাতা জাকির হোসেনকে মারধর করে গোপনাঙ্গে বিদ্যুত শক দিয়েছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ নিয়ে লিটু বাড়িতে আসে। তখন স্থানীয়রা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা লিটুকে গনধোলাই দিয়েছে। খবর পেয়ে দুই ঘন্টা পর পুলিশ এসে লিটুকে উদ্ধার করে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
এসময় উত্তেজিত গ্রামবাসী পূনরায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে লিটু সিকদারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, কুপিয়ে লিটুর একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। নিহতের বোন ও ছোট ভাইকেও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক। এ ব্যাপারে মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির শিকদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলা হবে।