সর্বশেষ :
ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসির মজুরি কমিশনভুক্ত শ্রমিকদের নাভিশ্বাস। বাগেরহাট-০৩ আসনের মোংলা-রামপালকে ভেঙ্গে পৃথককরণ ও বাগেরহাট-০৪ আসনকে বিলুপ্তির প্রতিবাদে মোংলায় বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত  ফকিরহাটে প্রথম ইনডোর শিশু বিনোদন কেন্দ্র ‘অননস ড্রিম পার্ক’-এর শুভ উদ্বোধন  বাগেরহাটে আসন কমানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ‘গাজায় এক চামচ ভাতই এখন হাসির কারণ’ ট্রাম্পের ২৫% শুল্ক নিয়ে ভারতে ক্ষোভের মুখে মোদি মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার ভারতে মসজিদের কাছে বিস্ফোরণ : ১৭ বছর পর খালাস সব অভিযুক্ত কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় নিহত ১, আহত অন্তত ৪০ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্থগিতের আহ্বান সুইডেনের
শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

পাইকগাছায় বর্ষা মৌসুমে  নার্সারিতে গাছের চারা বিক্রি বেড়েছে 

প্রতিনিধি: / ৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা): বর্ষায় পাইকগাছায় নার্সারিতে গাছের চারার ব্যাপক চাহিদা ও বিক্রির হিড়িক পড়েছে। উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে তোলা নার্সারিগুলিতে বছরজুড়ে সব গাছের চারা পাওয়া যায়। এসব চারা বেচাকেনা হয় সব মৌসুমে। তবে চারা বিক্রির সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বর্ষাকালে। এই সময়টাতে রোপণ করা চারা শতভাগ জীবিত থাকে বলে চারারও চাহিদা বাড়ে দ্বিগুণ। অনেকে এই সময়টাতে তৈরি করেন ফলজ-বনজ বাগান। বেশির ভাগ মানুষ তাদের বসতবাড়িতে নানা প্রকারের চারা রোপণ করে থাকেন বর্ষাকালে। এ বছরের আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে। এ সুযোগে নার্সারিগুলো গাছের চারার ব্যাপক চাহিদা  বিক্রির হিড়িক পড়েছে।উপজেলার গদাইপুরে বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠেছে তিন শতাধিক নার্সারি। তাছাড়া ১০ শতক থেকে এক বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক নার্সারি। গ্রামের চারদিকে যেন সবুজের সমাহার। গদাইপুরে ঢুকলে চোখে পড়ে ক্ষেতের পর ক্ষেত নার্সারি। বাড়ির সামনে-পেছনে ও আশপাশে নার্সারি গড়ে তুলেছেন সবাই। সব নার্সারির সামনে আছে সাইনবোর্ড লাগাানো। নানা রকমের ফুল, ফল ও মসলার চারা বাড়িগুলোর সামনে। বাড়ির ভেতরে গড়ে তোলা নার্সারিতে চারা কেনাবেচার দৃশ্যও নজর কাড়ে। গদাইপুর এলাকার তৈরী কলম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। নার্সারি মালিক সমিতি সুত্রে জানা গেছে, কেবল বর্ষা মৌসুমেই  গদাইপুরের কয়েক শত নার্সারিতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার চারা বিক্রি হয়। আর সারা বছরের বিক্রি হয় আড়াই ২ শত কোটি টাকার বেশি। এসময় চারা ক্রয়, বিক্রি ও পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন মালিক-শ্রমিকরা।উপজেলার গদাইপুর গ্রামের মেইন সড়কের দুই পাশে নার্সারিতে নানা প্রজাতির গাছের চারার দৃশ্য নজর কাড়ে। রাস্তার পাশে যতদূর দৃষ্টি যায় ফুল, ফল, মসলা ও বনজের চারা দেখা যায়। যেগুলোর গোড়ার মাটি পলি প্যাকেটে আবদ্ধ। চলতি পথে নার্সারিগুলোয় কর্মব্যস্ততার দৃশ্য চোখে পড়ে। কেউ নিড়ানি দিয়ে আগাছা বাছা ও ঝাঁজরি দিয়ে চারায় পানি দিচ্ছেন। আবার কেউ ভ্যান, নছিমন, ট্রাক ও পিকআপে চারা তুলে দিচ্ছেন।  দেশী প্রজাতির পাশাপাশি বিদেশী ফলের চারারও উৎপাদন হয়। এখানে স্ট্রবেরি, রাম্বুটান, ড্রাগন, থাই পেয়ারাসহ ৩০-৪০ প্রজাতির বিদেশী ফলের চারা তৈরি হয়। এছাড়া দেশী প্রজাতির সকল ফলের চারা নার্সারিগুলোয় পাওয়া যায়। এসব ফলের প্যাকেট চারা বছরজুড়ে পাওয়া যায়। প্যাকেটে রোপণ করা চারার পাশাপাশি টবে লাগানো ফুল-ফলের চারাও এখানে বিক্রি হয়। চুই, লবঙ্গ, তেজপাতা, দারুচিনি, গোলমরিচ, এলাচসহ বেশ কয়েক প্রজাতির মসলার চারা উৎপাদন ও বিক্রি হয়।পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, নার্সারি ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক। কেউ পরিকল্পনা মাফিক নার্সারি করলে অনায়াসে তিনি স্বাবলম্বী হবেন। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ ভারসাম্য ও জীবচিত্র্য রক্ষার জন্য বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্ষাকালে গাছের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। এসময় প্রচুর বৃষ্টি হয় ও উর্বরা শক্তিবৃদ্ধি পায়। তাই এই সময়ে তিনি সবাইকে বৃক্ষরোপণ করার জন্য আহ্বান জানান।


এই বিভাগের আরো খবর