শেখ আব্দুল গফুর,কপিলমুনি (খুলনা) অফিসঃ কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যানের কর্মস্থলে অনিয়মিত থাকার কারণে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম
ব্যাহত হচ্ছে। দিনের পর দিন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও নাগরিক সেবা মিলছে না। এতে স্থানীয়রা
জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা থেকে
বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, অসহায় ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ প্রশাসনিক সেবা না পেয়ে
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যন নির্বচিত হন
কাওসার আলী জোয়ারদার। এরপর তিনি দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে সরব ছিলেন। গত ৫ আগস্ট ২০২৪
আওয়ামী লীগ সরকাবের পতনের পরে কওসার আলী জোয়ারদার কিছু দিন এলাকায় থাকলেও মামলার
আসামি হওয়ায় তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এরপর আওয়ামী লীগ মনোনীত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের
ইউপি সদস্য ইউনুস আলী ১ লা অক্টোবর ২০২৪ এ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
তিনিও দুটি মামলার আসামি হওয়ায় আত্মগোপনে চলে যান। জানা যায়, ওই দুটি মামলায়
জামিনে থাকলেও তিনি পরিষদে ঠিকমতো আসছেন না। কয়েকদিন পর পর পরিষদে আসলেও ২০-২৫
মিনিট আবার কোন কোন দিন ১০-১৫ মিনিট পরিষদে বসেন এরপর তিনি বেরিয়ে যান। দিনের
পর দিন এভাবেই চলছে ২ নম্বর কপিমুনি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। সেবা প্রত্যাশীরা তাকে না
পেয়ে ফোন করেও তাকে পাচ্ছেন না। ভুক্তভোগির অভিযোগ, ফোন বাজলেও তিনি রিসিভ করেন না।
এসব অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইউনুস আলীর মুঠোফোনে
০১৭২৫১৭৬৫০৪ নম্বরে বেশ কয়েকদিন ধরে ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।