রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

কপিলমুনিতে বিধবা মায়ের ছেলে ও ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধি: / ১০৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

কপিলমুনি (খুলনা) অফিসঃ কপিলমুনিতে এক বিধাবা মা নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের মৃত নীল কোমল হালদারের স্ত্রী আশালতা
হালদার (৬৫) স্থানীয় সাবর্বজনীন পূজা মন্ডপ প্রাঙ্গনে ঐ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এর
আগে গত ২৮ মে তার একমাত্র ছেলে সত্যজিৎ হালদার তার গর্ভধারীনী মা আশালতাকে মৃত দেখিয়ে
একটি ওয়ারেশ কায়েমপত্রের আবেদন করলে স্থানীয় ১নং ওয়ার্ড সদস্য মো: রফিকুল ইসলামের
সুপারিশে ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ৩১ মে ঐ ওয়ারেশ কায়েমপত্র প্রদান করেন। যার স্মারক নং-
ওয়া/ক/৩৩৬/২০২৫। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আশালতা অভিযোগ করেন, তার স্বামী
নীলকোমল হালদার গত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি এক স্ত্রী
আশালতা, এক ছেলে সত্যজিৎ হালদার ও দুই কণ্যা মমতা বিশ্বাস ও মুক্তি সরকারকে রেখে যান।
তিনি বলেন, স্বামীর মৃত্যুঅন্তে একমাত্র সম্বল বসতভিটার এক খন্ড মূল্যবান জমি বিক্রির জন্য তার
গর্ভজাত একমাত্র ছেলে তাকে তার স্বামী নীলকোমলের জীবদ্দশায় মৃত দেখিয়ে ওয়ারেশ কায়েমপত্র
গ্রহন করে। তাকে স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর
থেকে তার ছেলে ও পুত্রবধূ তাকে কারণে-অকারণে নির্যাতন শুর“ করে। বাধ্য হয়ে তিনি বিভিন্ন
সময় মেয়ের বাড়িতে অতিবাহিত করেন। সমপ্রতি তিনি জানতে পারেন যে, তাকে মৃত দেখিয়ে
ঐ ওয়ারেশ কায়েমপত্র নিয়ে বসত-ভিটাসহ সমূদয় জমি অন্যত্র বিক্রির জন্য খরিদ্দার ঠিক করা
হয়েছে। এরপর তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলেও কোন সদুত্তর
না দিয়ে আকষ্মিক গত ২০ জুন স্থানীয় পূজা মন্ডপে উভয় পক্ষকে ডেকে এক বৈঠকে বসেন।
তবে এদিন তিনিসহ এলাকার শতাধিক নারী-পুর“ষ উপস্থিত হলেও ছেলে সত্যজিৎ ও তার স্ত্রী
শিপ্রা হালদার একমাত্র বসত ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান। এখন পর্যন্ত তারা পলাতক রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি উক্ত ওয়ারেশ কায়েমপত্র বাতিলসহ ঘটনায় জড়িত নিজ ছেলেসহ
তার সাথে জড়িতদের বির“দ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে সংশি­ষ্ট প্রশাসনের প্রতি হস্তক্ষেপ
কামনা করেছেন।


এই বিভাগের আরো খবর