• সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৮:০৪

নাটকে ৫০০ অভিনয়শিল্পী, ইউটিউবে আসছে ‘যাত্রা বিরতি’

প্রতিনিধি: / ৩২ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

বিনোদন: বাংলাদেশে ঈদ মানেই ঘরে ফেরা, প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো, আর সেই ঈদযাত্রা অনেক সময়ই হয়ে ওঠে নানা ঘটনার সমাহার। এমনই এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ব্যতিক্রমী ঈদ নাটক ‘যাত্রা বিরতি’, যেখানে অভিনয় করেছেন প্রায় ৫০০ জন শিল্পী। ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি লঞ্চ এবং যাত্রীদের ঘরে ফেরার গল্প কেন্দ্র করে নাটকটির কাহিনি এগিয়েছে।
নাটকটি বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকাল ৫টায় মুক্তি পাবে ক্লাব এলিভেন এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে। এতে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, সিনথিয়া ইয়াসমিন, সুমাইয়া অর্পা, বিনয় ভদ্র, হায়দার আলী, বাদল, কাঞ্চনসহ শত শত অভিনয়শিল্পী।
নাটকটির রচনা করেছেন সুবাতা রাহিক জারিফা, পরিচালনায় আছেন আদিফ হাসান এবং প্রযোজনায় আকবর হায়দার মুন্না।
গল্প শুরু হয় ঈদের আগের রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া শেষ লঞ্চটিকে কেন্দ্র করে। লঞ্চের প্রতিটি আসন পূর্ণ। কেউ ফিরছেন ১৪ বছর পর প্রবাস জীবন শেষে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে, কেউ নিয়ে যাচ্ছেন কোরবানির খাসি, কেউ ভাইয়ের বিয়ের মালপত্রসহ গ্রামে যাচ্ছেন, কেউ আবার প্রথমবারের মতো নতুন বউ নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে ঈদ করতে। তাদের চোখেমুখে আশা, আনন্দ, আর অপেক্ষা।
লঞ্চের সুপারভাইজার দেলোয়ার নিজেকে সবজান্তা ভাবলেও বাস্তবে তিনি সহজ-সরল। ভিআইপি কেবিনে ওঠা যাত্রী আইরিন এবং তার ছোট বোনের সঙ্গে তার মনোমালিন্য তৈরি হয় নানা অব্যবস্থাপনা ঘিরে। আইরিন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
যাত্রাপথে ঘটে যেতে থাকে নানা ঘটনা, আর ঈদের সকালে যখন চারপাশে উৎসবমুখর পরিবেশ, তখনই ঘটে এক দুর্ঘটনা। যাত্রীরা আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েন। গল্পের উত্তেজনা বাড়তে থাকে-শেষ পর্যন্ত তারা কি নিরাপদে বাড়ি পৌঁছতে পারবেন?
পরিচালক আদিফ হাসান জানিয়েছেন, “ঈদে ঘরে ফেরার আবেগ, সেই যাত্রাপথের রোমাঞ্চ আর বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটেছে নাটকটিতে। আমরা চেয়েছি ঈদ মানে শুধুই আনন্দ নয়, তার পেছনে থাকা সংগ্রাম, মানবিকতা ও সম্পর্কের গল্পও তুলে ধরা।”
অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত বলেন, “লাখ লাখ মানুষ ঈদের সময় বাড়ি ফেরে-এই নাটকে সেই বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। প্রায় ৫০০ অভিনয়শিল্পী একসঙ্গে কাজ করেছি, শুটিং হয়েছে লঞ্চে এবং বরিশালের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। কষ্ট হলেও দর্শক যদি ভালোবাসেন, সেটাই আমাদের বড় সাফল্য।”
নাটকটি নির্মাণে যেমন ভিন্নতা এসেছে লোকেশন ও সংখ্যাগত পরিসরে, তেমনি গল্পের আবেগ ও সামাজিক বাস্তবতা নাটকটিকে করে তুলেছে ব্যতিক্রম।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com